নিজস্ব প্রতিবেদক, নয়াদিল্লি, আপনজন: অভিযুক্ত দখলদারদের ‘রাতারাতি’ সরানো যাবে না বলে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, যে কোনও ব্যক্তিকে কোনও নোটিশ ছাড়াই “খুব সকালে বা সন্ধ্যার পরে” তাদের বাড়িতে গিয়ে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না, যার ফলে তারা সম্পূর্ণ আশ্রয়হীন হয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ বলেছেন, এ জাতীয় ব্যক্তিদের একটি যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা দিতে হবে এবং কোনও ধ্বংসের কাজ শুরু করার আগে তাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। গি ঝোপড়ি বস্তি এবং শহরের শাকারপুর জেলার বস্তির বাসিন্দারদের হয়ে শাকারপুর বস্তি ইউনিয়নের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিততে দিল্লি হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।গত বছরের ২৫ জুন, এই বস্তি ইউনিয়ন দাবি করে যে ডিডিএ কর্মকর্তারা, তাদের কোনও নোটিশ ছাড়াই, এলাকায় এসেছিলেন এবং প্রায় ৩০০ টি ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছে। ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, দিল্লি উন্ণয়ন কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞটি তিন দিন ধরে চালিয়ে বস্তিগুলি ভেঙে ফেলা ফেলে। কিন্তু তাদের জিনিসপত্রও সংগ্রহ করার সুযোগ দেয়নি। তারা অভিযোগ করেন, বুলডোজার চালানোর সময় পুলিশ কর্মকর্তারা, ডিডিএ-র কর্মকর্তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছিলেন।
ডিডিএ-র এই ধরনের অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে এবং দিল্লি বস্তি পুনর্বাসন বোর্ডের নীতি অনুসারে সমস্ত বাসিন্দাদের সমীক্ষা চালানোর পর পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ভেঙে ফেলা স্থানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। দিল্লি জে জে বস্তি পুনর্বাসন ও পুনর্বাসন নীতি, ২০১৫ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত ডিডিএ-কে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন বাসিন্দাদের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয় বা বিকল্পভাবে ডিইউএসআইবি তিন মাসের জন্য তাদের থাকার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে যাতে যাদের ঝুপড়িগুলি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তারা কিছু বিকল্প বাসস্থান খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। আদালত আরও বলেছে, বুলডোজার দিয়ে ঝুপড়ি ভেঙে দেওয়ার পর বস্তিবাসীদের পক্ষে সেখানে থাকা তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য. ডিডিএ উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে তাদের আবেদনে বলেছে, যে যমুনা নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত এই অঞ্চলে থাকা বস্তিগুলিকে ভেঙে ফেলার কাজ করা হচ্ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct