নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা, আপনজন: সার্ক দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রসারিত করার লক্ষে মিলনোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান নিয়ে ৪ দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল । রবিবার সন্ধেয় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সার্ক দেশগুলির মধ্যে সৌভাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রসারিত করার লক্ষে এই উৎসব। এদিন দুই বাংলার সংস্কৃতির মিশেলে উৎসব আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সার্ক কালচারাল সোসাইটি ও ওয়ার্ল্ড মিউজিকের উদ্যোগে রবিবার রাতে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গাকিঙ্কর সদনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে অনুষ্ঠান। প্রথমে গম্ভীরা ও শাওতালী নৃত্যে অতিথিবর্গকে স্বাগত জানান। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সার্ক-এর আওতাধীন ৮ দেশের মধ্যে বর্তমানে ৪ দেশের মধ্যে এই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মুলত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানে মিলনোৎসব আয়োজন হচ্ছে। আগামী দিনে বাকি ৪ দেশেও এই কর্মকান্ড প্রসারের লক্ষ রয়েছে সার্ক কালচারাল সোসাইটির ও ওয়ার্ল্ড মিউজিক-এর। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধন করেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি। হাজির ছিলেন বাংলাদেশ সার্ক কালচারাল সোসাইটি-র সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম, ভারতের সাধারণ সম্পাদক তথা কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবী অনিন্দ্য চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব তথা সার্ক কালচারাল সোসাইটির অল ইন্ডিয়া কমিটির সভাপতি ড: অমলকান্তি রায়, সার্ক কালচারাল সোসাইটির সহ সম্পাদিকা পাঞ্জালি সিনহা, সার্ক কালচারাল সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ড: গৌতম সরকার প্রমুখ। ছিলেন পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্র নাথ হালদার প্রমুখ। গুনীজনকে মানপত্র ও স্মারক উপহার প্রদান করা হ্য়।
শতাধিক প্রতিভার শিল্পীদের দেওয়া হয় শংসাপত্র। অতিথি শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের শামান্তা শাহীন, কলকাতার শিল্পী স্বপ্না বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গুনীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘প্রতিভার সেরা অন্বেষন’-এ প্রথম পর্বে বাছাইকৃত শতাধিক সফল শিল্পীদের শংসাপত্র ও পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সার্ক কালচারাল সোসাইটির অল ইন্ডিয়া কমিটির সভাপতি ড: অমলকান্তি রায় জানান, ‘পাশাপাশি দুই দেশ মিলেমিশে রয়েছি। ধর্মে-বর্ণে সকল মানুষ একত্রে মেলবন্ধন ও সম্প্রীতির জয়গান গাই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে হাতিয়ার করে গোটা সার্কভূক্ত দেশে আমরা পরস্পরের মধ্যে আরও মেলবন্ধন তৈরি করাই লক্ষ্য আমাদের।’ বাংলাদেশের সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি মোমতাজুল করিম এদিন বলেন, ‘এই সার্ক কালচারাল সোসাইটি সার্ক দেশগুলোর মধ্যে শিল্পী-সাহিত্য -সংস্কৃতি নিয়ে জড়িতদের পরিচিতি ও প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই লক্ষ্য। করোনার পর আমরা পরস্পর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মিলিত হয়ে মেলবন্ধনের বার্তা দেওয়া হল। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পারে সার্ক দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো সুন্দর ও মজবুত হবে।’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৃষ্ঠপোষক অর্চনা ঘোষ ও গৌরাঙ্গ ভার্মা। এক পৃষ্ঠপোষক অর্চনা ঘোষ বলেন, বিশিষ্ট অতিথিবর্গ উপস্থিতি ও একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের প্রথম উদ্যোগ ও প্রয়াস সফল হয়েছে। আগামীতে আরো বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct