নিজস্ব প্রতিবেদক, কোচবিহার, আপনজন: কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে অবস্থিত কোচবিহারের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ফাঁসির ঘাট। কোচবিহারের প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘী চত্বর থেকে মাত্র ৫০০-৬০০ মিটার দূরত্বে তোর্সা নদীতে ফাঁসিরঘাট। এই নৌকো ঘাট দিয়ে প্রত্যহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ পারাপার করে কোচবিহার শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এই ফাঁসির ঘাট কোচবিহারের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এখানে একটি ব্রীজের দাবি দীর্ঘদিনের। সোমবার কোচবিহার রাজবাড়ী স্টেডিয়াম থেকে মিছিলযোগে জেলাশাসক দপ্তরে গিয়ে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করা হল কোচবিহার জেলা শাসকের মাধ্যমে। তাদের অভিযোগ, এর আগে বহু বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী সকলের কাছে দরবার করা হয়েছে ফাঁসির ঘাটে সড়ক সেতুর দাবি নিয়ে।
তাদের আরও অভিযোগ, ভোটের সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হয়, কিন্তু ভোট পেরোলে সেতু তৈরীর বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। এখানে একটি সেতু হলে কোচবিহার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের বিস্তীর্ণ এলাকার উন্নয়নে নতুন মাত্রা আসবে, ১৪ লক্ষাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। ফাঁসিরঘাটে সেতু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং কোচবিহারের উন্নয়নে নতুন পালক যুক্ত হবার কারণে বিভিন্ন ভাবে উন্নয়ন সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে জামালদাহ, মেকলিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকার মানুষ প্রায় দেড় ঘন্টার কম পথ অতিক্রম করে কোচবিহার শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে পারবে। একদিকে যেমন সময়ের অপচয় থেকে রেহাই পাবে সেই সঙ্গে জাতীয় সম্পদের ব্যবহার অর্থাৎ পেট্রোল-ডিজেলের সাশ্রয় হবে। তাইতো ফাঁসির ঘাট সেতু আন্দোলন কমিটি সেতুর দাবিতে আন্দোলন অংশ হিসেবে সম্পাদক মনিরুজ্জামান ব্যাপারীর নেতৃত্বে আজকে ডেপুটেশন কর্মসূচি সম্পন্ন করল। আমরা আশাকরি আমাদের স্মারকলিপি কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণে দেখে অবিলম্বে ফাঁসিরঘাটে একটি সড়ক সেতু তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং সেতুর ঘোষণা দেবে। যদি আমরা দেখি ডেপুটেশন কর্মসূচির পরেও সেতু তৈরির কোন পদক্ষেপ হচ্ছে না তাহলে আমরা আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করব। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক ব্যানার্জি ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। সেতু আন্দোলন কমিটি ইতিমধ্যেই সেই ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচিতে গণহারে ফোন করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই বহু ফোন করে ফাসির ঘাটে সড়ক সেতুর দাবি তুলে ধরা হয়েছে এবং হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct