দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একটানা ৩৪ বছর পঞ্চায়েতের বরাদ্দ অর্থের খরচ করার খতিয়ানের তালিকা দেওয়া হতো জন সাপেক্ষে, কিন্তু এখন তৃণমূলের জামানায় এসব কোথায়? দুর্নীতি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। মঙ্গলবার মালদায় সিপিএমের ডাকা জেলা মালদা জেলা পরিষদ ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে একথা বলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র।এদিন জেলা সিপিএমের ডাকে ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মালদা জেলা ও পরিষদ ঘেরাও ডেপুটেশন বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আর সেই কর্মসূচিতেই যোগদান করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ অন্যান্য নেতাদের পাশে নিয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় কেন্দ্রের মোদি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন সূর্যকান্তবাবু। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন , তৃণমূলের জামানায় বিভিন্ন চিটফান্ডের প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সেইসব এখন কোথায়? কেন্দ্রের কিছু এজেন্সি তদন্ত করছে ঠিকই। কিন্তু সেটিও ঢিমেতালে। সঠিক তদন্ত হলে ঝুলি থেকে অনেক বড় মাপের বেড়াল বেরিয়ে আসবে।
পঞ্চায়েত স্তরে আর্থিক দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, আমরা ৩৪ বছর এরাজ্যে ক্ষমতায় থেকেছি। সরকারি নিয়ম করেই প্রতিবছর বিভিন্ন পঞ্চায়েতের খরচের তালিকা প্রকাশিত করা হতো। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েত অফিস গুলিতে সেই খরচের তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া হতো। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ স্তরে কোনরকম দুর্নীতির অভিযোগের আঙুল উঠে নি। কিন্তু এখন সামান্য পঞ্চায়েত স্তরে যেভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, তা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের নানান উন্নয়নমূলক কাজকর্মে সমস্তটাই দুর্নীতিতে ভরা। বামফ্রন্ট সবসময় এর প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। তবে এবারে এই সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। মানুষ আবার সিপিএমকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চাইছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct