নিজস্ব প্রতিবেদক, হায়দরাবাদ, আপনজন: মঙ্গলবার হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে শামসাবাদে পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার ফলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন। গ্রিন অ্যাভিনিউ কলোনির মসজিদ-ই-খাজা মাহমুদকে পুলিশের বিশাল উপস্থিতির মধ্যে মঙ্গললবার সকালে পৌর কর্মীরা ভেঙে দেয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দা ও বিভিন্ন দলের নেতারা। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) এবং মজলিশ বাঁচাও তেহরিক (এমবিটি) এর নেতারা এই মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদ জানান। এমবিটি নেতা আমজেদুল্লাহ খান বলেন, মসজিদটি তিন বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং শুক্রবারের নামাজসহ প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ নিয়মিতভাবে আদায় করা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৫ একর জমির উপর গ্রিন অ্যাভিনিউ কলোনিটি শামশাদ গ্রামপঞ্চায়েতের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি নিয়ে প্লট করা হয়েছিল এবং বিক্রি করা হয়েছিল। ২৫০ বর্গ গজের দুটি প্লটকে মসজিদের জন্য একটি স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। একজন ব্যক্তি, যার বাড়ি মসজিদের পাশে, তিনি আরও কয়েকজন বাসিন্দা মিলে শামশাদ মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এমবিটি নেতা বলেন, মামলাটি আদালতে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মিম-এর স্থানীয় নেতারাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা মসজিদটি ভেঙে ফেলার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। পরে পুলিশ রাজেন্দ্র নগর বিধানসভা কেন্দ্রের এআইএমআইএম-এর ইনচার্জ মির্জা রহমত বেগের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে। মুসলিম নেতারা এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা করেছেন এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) সরকারকে দায়ীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমবিটি নেতা খান বলেন, কেসিআরের নেতৃত্বাধীন টিআরএস সরকার বিজেপির যোগী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। তার অভিযোগ, ২০১৪ সালে টিআরএস দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তেলেঙ্গানায় ছ’টি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি সেই সব মুসলিম সংগঠন এবং রাজনীতিবিদদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যারা কেসিআরকে ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হিসাবে দাবি করে। তিনি বলেন, কেসিআরের ছেলে কে টি রামা রাওয়ের নেতৃত্বে মিউনিসিপ্যাল ডিপার্টমেন্ট এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct