মঞ্জুর মোল্লা, নদীয়া, আপনজন: নদিয়া জেলার চাপড়া, নাকাশিপাড়া, কালিগঞ্জ সহ তেহট্ট ব্লক থেকে শুরু করে বহু গ্রাম মানুষ শহর জুড়ে বিভিন্ন ডিয়ার লটারির দোকানে ভিড়। এই দিন খেলার টিকিটের নম্বর মিলাচ্ছে মস্তেক মহলদার এইভাবে গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলে এমনকি মহিলারাও টিকিট কাটছি প্রতিনিয়ত২০০ টাকা,৩০০ টাকা ও ৫০০টাকার টিকিট কাটছে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার। বিভিন্ন চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে দিনে তিনবার টিকিট কাটছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। বাড়িতে সংসার চালানোর জন্য প্রতিনিয়ত স্ত্রীর সাথে অশান্তি গন্ডগোল হচ্ছে তারপরেও লটারির টিকিট কাটা নেশায় ডুবে রয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজার চায়ের দোকানে লটারির টেবিল নিয়ে বসেছে। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নে সর্ব শান্ত হচ্ছে গ্রামের মানুষ। স্থানীয় এক ভ্যান চালক রোজদার মন্ডল জানান কষ্ট করে টাকা পরিশ্রম করে তবুও টিকিটের নেশাই সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে, দিনে তিনবার টিকিট কাটতে গেলে অন্তত তিন থেকে 400 500 টাকা পর্যন্ত জোগাড় করতে হচ্ছে যা নিয়ে বাড়িতে চলছে অশান্তি তবুও ভুলতে পারছি না ডিয়ার লটারি। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রশিদ আলী শেখ জানান আমাকেও ধরেছে এই নেশায় তবুও ভুলতে পারছে না এই লটারির পিছনে প্রচুর টাকা ব্যয় করেছি কিন্তু বড় ধরনের কোন পুরস্কার আজও আমার কপালে জোটেন। নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে কোটি টাকার ওপরে টিকিট বিক্রয় হয় কখনো কখনো মোটা পুরস্কারও জেলাতে পেয়েছে অনেকেই লটারির এক টিকিট বিক্রেতা জানান তিনি দৈনন্দিন প্রায়ই ৩০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রয় করে আগে একটি চায়ের দোকান ছিল এখন টিকিটের দোকান করেছি বিভিন্ন গ্রাম থেকে টিকিট নিতে আমার কাছেও আসে এই লটারির নেশাই গ্রামের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে তবুও টিকিট কাটতে ভুলছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct