ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ একটি বহু আলোচিত ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহ, বেশির ভাগ আলোচনা বা বর্ণনা পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকদের কলমে এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতেই লেখা। ইউসুফ সালাদিন আয়ুবীকে ক্রুসেডের মহানায়ক হিসেবে তুলে ধরেছেন আরবীয় লেখক আমিন মালাউফ। তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বাংলা তরজমা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের প্রাক্তন সচিব আব্দুস শুকুর। আজ তৃতীয় পর্ব।
নিঃসন্দেহে এই হিসেব খুবই সাজানো মনে হবে,কিন্তু ইহা সত্যি যে ঘাতক দলের উপর সালাদিনের পলিসি হঠাৎ পালটে গেছিল। যদিও এরকম সব ভোজবাজির উপর তাঁর বিতৃষ্ণা ছিল,কিন্তু তিনি এই ঘাতকদের ভীতি প্রদর্শন করেননি,বরং তাদের সাথে আপোষ করেছেন। শত্রুদের এভাবে বঞ্চিত করেছেন, মুসলিম এবং অন্য প্রতিপক্ষদের উপযুক্ত পরিপুরক পাওয়াথেকে বঞ্চিত করেছেন। আরও সুলতান নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যু্দ্ধের সমস্ত ব্যাপারটা সিরিয়াকে ঘিরে গড়ে উঠুক।অবশ্য ইহা সত্যি যে সব দিক বিবেচনায়, দামাস্কাস বিজয়ের পরই সালাদিনের ক্ষমতা জোরালো হয়। অবশ্য বিবাদ বেশ স্থিতিশীল হয়েছিল এসময়। বহু অভিযান চালাতে হয়েছিল, ফরাসীদের বিরুদ্ধে এ্যলেপ্পোর বিপক্ষে,জাঙ্গির বংশধরদের শাসিত মশুল, আল জাজিরা ও এশিয়া মাইনরের এলাকাগুলিতেও বহু অভিযান চালাতে হয়েছিল।ইহা ছাড়াও সালাদিনকে প্রায় কায়রো গিয়ে নানা গোলমাল ও ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে আসতে হতো, এরকম ব্যস্ত ও সক্রিয় সময় কাটাতেন সুলতান। অবস্থার উন্নতি হতে লাগলো, ১১৮১ সনে আল সালিহ ১৮ বছর বয়সে যখন হঠাৎ মারাগেলেন, সম্ভবতঃ বিষক্রিয়ায়, আল আথির শেষ দিনের মর্মস্পর্শী বিবরন দিয়েছেন, যখন অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠল,ডাক্তারেরা সামান্য মদ্য পানের পরামর্শ দিলেন, বললেন আলেমদের মত ছাড়া তিনি তাহা করবেন না একজন অভিজ্ঞ পরাময়র্শ দাতা বললেন ঔষধ হিসেবে মদ ব্যবহার করা সিদ্ধ, আল সালিহ বললেন,’’ তোমরা কি মনে কর আমি মদ খেলে, আল্লাহ তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন’’ পন্ডিতরা বললেন, ‘’ তা বলতে পারিনা’’ ‘’তব এই নিষিদ্ধ পানীয় আমার পেটে নিয়ে আল্লহের সামনে যেতে পারবনা।
১৮ মাস পর ১১৮৩ সনের ১৮ই জুন সালাদিন নিশ্চুপ এ্যলেপ্পো প্রবেশ করলেন। মিশর ও সিরিয়া এখন এক হয়ে গেল প্রকৃত অর্থেই, নুর আল দিনের সময়ের মতো শুধু নামে নয়। আয়ুবীয় সার্বভৌমত্বের অন্তর্গত হয়ে গেল। এই শক্তিশালী আরব ক্ষমতা পত্তনের পরে ফরাসীদের মধ্যে বিশেষ নড়াচড়া হল না। তাদের মধ্যে নুতন কোন শক্তিশালী ঐক্য জোট তৈরী হলনা। উল্টোদিকে কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত জেরুজালেমের রাজা নিস্তেজ হয়ে গেলেন, দুটো প্রতিদ্বন্দী শক্ত নিজেদের মধ্যে বিবাদে লিপ্ত হয়ে গেল। প্রথম ত্রিপলির কাউন্ট রেমন্ডের নেতৃত্বে সালাদিনের সাথে বোঝাপড়ায় এল, অন্য চরমপন্থী চৈলিয়নের রেনল্ড-এ্যান্টিয়কের প্রাক্তন যুবরাজ বেদম কাল শিকারী নাক, আরবীতে ঝরঝরে ও ইসলামী শাস্ত্রের পন্ডিত, বিশাল বপু না হলে তাকে সিরিয়ানই মনে হত এবং পশ্চিমের মানুষ মনেই হত না সেই সময়ের ফরাসীদের মধ্যে। ইবন আল আথির বলেছেন, রেমন্ড ইবন, বা রেমন্ড আল সানজিলি ত্রিপলির লর্ড, সেন্ট গাইলেসের বংশধর এর থেকে বুদ্ধিমান ও সাহসী কেউ ছিল না। কিন্তু তিনি ভীষণ উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন ও রাজা হতে চাইতেন, কিছুদিন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন, ফরাসীরা তাকে হঠাৎ সরিয়ে দেয়, সে ক্রুদ্ধ হয়ে, আল সালির সাহায্য চেয়ে চিঠি লেখেন যাতে ফরাসীদের রাজা হতে পারেন। আল সালিহ খুশী হয়ে তার কাছে আটক ত্রিপোলির কিছু নাইটকে মুক্তি দিয়ে তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সালাদিন এই ঘটনাগুলির উপর তখন নজর রাখছিলেন, যখন রেনল্ডের প্রাচ্য থেকেও জেরুজালেমে প্রবল হল। সালাদিন আপসের বার্তা পাঠালেন, ১১৮৪ সনে বল্ডুইন ৪ এর কুষ্ঠ চরম অবস্থায় পৌঁছেছিল। হাত পা জড় হয়ে গিয়েছিল, চোখ নিস্প্রভ, তার না ছিল সাহস,না সাধারন জ্ঞান, ত্রিপলির কাউন্টের উপর খুব ভরসা ছিল যিনি সালাদিনের ভাল সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছিলেন, আন্দুলেশিয়ান ভ্রমণকারী ইবনে জুবায়ের ঐ বছর দামাস্কাস এসেছিলেন। লিখেছেন, অবাক ব্যাপার যুদ্ধ সত্ত্বেও, কায়রো ও দামাস্কাসের মধ্যে ফরাসী এলাকার ভিতর দিয়ে কিছু ট্যাক্স দিয়ে বাণিজ্যদল যাতায়াত করত, এবং কোন অসুবিধা ছিল না। একই রকমভাবে খ্রিস্টান ব্যবসায়ীরা মুসলিম এলাকার ভিতর দিয়ে যাতায়াত করত। দুই পক্ষে বোঝাপড়া ছিল এবং সমান ব্যবহারকে মান্যতা দেওয়া হতো। যুদ্ধের স্থলে যুদ্ধ থাকত, অন্যত্র মানুষ শান্তিতে থাকত। সুলতান এই সহাবস্থানের নিয়মকে শেষ করতে চাইলেন না বরং সালাদিন ইহাকে আরও শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেন। ১১৮৫ সনের মার্চ মাসে জেরুজালেমের কুষ্ঠভারাক্রান্ত রাজা ২৪ বছর বয়সে মারা গেলেন। তিনি তার রাজ্য তাঁর নাবালক ভাইপো ৬ বছরের শিশু বল্ডুইন V কে দান করে গেলেন। ক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব গেল ত্রিপলির কাউন্টের হাতে। তিনিও তার এই ক্ষমতাবৃদ্ধি চাইছিলেন, তিনিও দামাসস্কাসে শান্তি চাহিয়া দূত পাঠালেন। যদিও সালাদিন জানতেন যে তিনি পশ্চমাদের সাথে এ সময় যু্দ্ধ শুরু করার মত অবস্থায় আছেন, তবু তিনি তিনি যে কোন ভাবেই শান্তির পক্ষে দাঁড়ালেন, ও চার বছরের শান্তি চুক্তি করলেন।
এক বছর পর বালক রাজা মারা গেল ১১৮৬ সনের আগষ্ট মাসে, ক্ষমতার প্রতিনিধি কে হবেন এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বেধে গেল। ইবন আথি্র ব্যাখা করেছেন, মৃত রাজার মা পশ্চিম থেকে সদ্য আসা গাই নামে এক ফরাসী ব্যক্তির প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করলেন,এবং শিশু রাজা মারা গেলে সিংহাসন স্বামীকে দিয়ে দিলেন, প্যাট্রিয়াক, পাদ্রীদের,মঙ্ক, হাসপাতালের ও গির্জার কর্তা সবাইকে ডাকলেন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলে দিলেন এবং সবাইকে তার প্রতি আনুগত্যের শপথ করালেন। রেমন্ড মানতে অস্বীকার করল বরং সালা আল দিনের সাথে চুক্তি করল। গাই পরিচিত হল লুসিগনানের রাজা গাই হিসেবে। ইনি দেখতে সুন্দর কিন্তু রাজনৈতিক ও সামরিক বুদ্ধি একেবারে শুন্য। শেষ যার সাথে কথা বলতেন তার কথাতেই রাজি হয়ে যেতেন, প্রকৃত পক্ষে ক্ষমতাবানদের হাতের পুতুল হয়ে ছিলেন। তাদের নেতা বৃদ্ধ বৃন আরনাট, রেনল্ড অব চায়লন। সাইপ্রাস অভিযান ও উত্তর সিরিয়ার কথা ধরে রেনল্ড এ্যলেপ্পোর কারাগারে ১৫ বছর কাটিয়ে ১১৭৫ সনে নুর আলদিনের ছেলের হাতে মুক্তি পান। কয়েদে থেকেও তার চরিত্রের দোষগুলি কমেনি বরং আরও বেড়ে গেছিল। আগের থেকেও ধর্মান্ধ, লোভী, রক্তলোলুপ, বরং আগের থেকেও বেশি হয়ে গেছিল। আরনাট ফরাসী ও আরবদের মধ্যে হিংসা ও খুনোখুনি অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার মুক্তির পরেও সে এ্যন্টিওক ফিরে সেখানে তার সৎ ছেলে বোহেমন্ড111 রাজত্ব করছিল,তাই সে জেরুজালেমে বাস করতে লাগল, সেখানে সে একজন যুবতী বিধবাকে বিয়ে করে জরডন নদীর আশেপাশে যৌতুক হিসেবে পেল,বিশেষ করে দুটি শক্তিশালী দূর্গ কারাক ওশবাক। তিনি templer ও নুতন আসা নাইটদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে জেরুজালেম রাজসভায় বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠলেন। রেমন্ড কেবল তাকে পাল্লা দেবার মতো থাকলেন। প্রথম ফরাসী আক্রমণকারীদের মত রেনল্ড আরবদের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানালেন, বাধাহীন ভাবে লুট খুন চালালেন, নুতন নুতন এলাকা দখল করলেন। যে কোন সমঝোতা ও মীমাংসাকে ভাবতেন বিশ্বাসঘাতকতা। কোন যুদ্ধবিরতি অথবা সন্ধিকে মনে হত প্রতিবন্ধক। যে কোন ঘটনা সন্দেহের চোখে দেখে ভাবতেন বিধর্মীদের এরকম করার শপথ নেওয়াই উচিত। ১১৮০ সনে দামাস্কাস ও জেরজালেমের মধ্যে চুক্তি হল যাতে এলাকায় মানুষ ও পন্যের নিরুপদ্রব যাতায়াত হয়। কয়েকমাস পর ধনী আরব বনিকদের এক বানিজ্য দল মক্কা যাওয়ার পথে সিরিয়ার মরুভুমির ভিতর রেনল্ডের হাতে আক্রান্ত হল সমস্ত মালপত্র লুট করে নেওয়া হল, সালাদিন চতুর্থ বল্ডউইনের কাছে নালিশ করলেন, তিনি অধীনস্থ অপরাধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস করলেননা। ১১৮২ এর শরৎকালে আরও গুরুতর ঘটনা ঘটল, আরনাৎ খোদ মক্কা আক্রমণ করা স্থির করল, এইলাত নামে একটা ছোট আকারের জেলেদের গ্রাম আকাবা উপসাগরের কুলে অবস্থিত ছিল। লোহিত সাগরের কিছু জলদস্যু ফরাসী আক্রমনকারীদের সাগরের কূলধরে রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে এসেছিল তারা মদিনার সরবরাহ বন্দর ইয়ানবাহ পরে মক্কার নিকট রাবিগ আক্রমন করল। রাস্তায় জেদ্দার পথে মুসলিম তীর্থযাত্রী বোঝাই একটি নৌকা ডুবিয়ে দিল, আল আথির লিখেছেন, সবাই অবাক হয়ে ছিল কারন এর আগে কখনও ফরাসী বনিক বা যোদ্ধা লোক দেখেনি।এভাবে সাহসী হয়ে তারা লুটের মাল ভরার জন্য জাহাজ সমেত অপেক্ষা করে রেনল্ড তার এলাকায় ফিরে গেল, কিন্তু তার লোকেরা লোহিত সাগরে আরও অনেকদিন ছিল,আল আদিল , সালাদিনের ভাই মিশর শাসন করছিল , এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে নৌ বহর পাঠিয়েছিল, তাদের দমন করে মক্কায় আনা হয়েছিল,এবং কয়েক জনকে দৃষান্ত মুলক মক্কার রাস্তায় সর্বসমক্ষে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। রেনল্ডের এই পাগলামী সমগ্র আরব জগতে ছড়িয়ে পড়েছিল,আর আরনাতের কাণ্ড ফরাসীদের কদর্যতার উদাহরণ হিসেবে আলোচিত হত।
সালাদিন জবাব দিয়েছিলেন রেনল্ডের এলাকায় কিছু অভিযান চালিয়ে,কিন্তু সুলতানের ক্রোধ সত্বেও তিনি যথেষ্ট উদারতা ও মানবতা দেখিয়েছেন,১১৮৩ সনের নভেম্বর মাসে কারক দুর্গের ভিতর পাথর নিক্ষেপের ব্যবস্থা করেছিলেন , তখন ভিতরে একটি বিয়ের কথা শুনে সে দিকে আক্রমন বন্ধ করেছিলেন, মেয়ে ছিল রেনল্ডের সৎ মেয়ে, এরকম উদাহরন আরও পাওয়া যায়। অবশ্য সুলতানের এতসব উদারতাও আরনাতের স্বভবে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি অবশ্য বুদ্ধিমান রেমন্ড তাকে কিছুদিন সংযত রেখেছিল, কিন্তু ১১৮৬ সনে গাই যখন ক্ষমতা পেলেন,আরনাত আবার স্বমূর্তি ধারন করল শর্ত ভাঙ্গতে শুরু করল,কয়েক সপ্তাহ পরেই মেয়াদ আরও দুবছরর বাকী থাকা শান্তি চুক্তির শর্ত অবজ্ঞা করে সে শিকারী পাখির মত, একদল নিরীহহ নাবিক ও তীর্থযাত্রী যারা শান্তিপূর্ণভাবে মক্কা যাচ্ছিল, সে সমস্ত্র সশস্ত্র লোককে হত্যা করল ও বাকীদের করকের কয়েদ খানায় আটকে রাখল। যখন তাদের কেউ রেনল্ডকে চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিত তখন সে উদ্ধতভাবে বলত,’ তোমাদের মহম্মদ এসে তোমাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাক’ কয়েক দিন পর যখন এসব কথা সুলতান সালাদিনের কানে পৌঁছল,তিনি শপথ করলেন আরনাতকে নিজের হাতে হত্যা করবেন। কিছু সময়ের জন্য সুলতান সংযত থাকতে চাইলেন, তিনি রেনল্ডের কাছে দুত পাঠালেন, আটক লোকদের ছেড়ে দিতে ও চুক্তির শর্ত মাফিক আটক মাল ফেরত দিতে বললেন, যখন প্রিন্স তাদের অগ্রাহ্য করলেন, তারা জেরুজালেম চলে গেলেন, গাই তাদের ঠিকমত গ্রহন করলেন এবং অধীনস্ত লোকের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে যাবার সাহস দেখিয়ে প্রতিকার করতে পারলেন না,যখন চুক্তিরশর্ত মোতাবেক প্রশ্ন করা হল,তখন অক্ষম গাই তার হাত ধুয়ে ফেললেন। শান্তি চুক্তি ভেঙ্গে গেল,সালাদিন যদিও পুরো সময় বজায় রাখতে চেয়েছিলেন,তিনি শত্রুতা ফিরে আসবে এ ভয় করছিলেননা,তিনি মিশর,সিরিয়া,জাজিরা এবং সর্বত্র আমিরদের কাছে খবর দিলেন যে ফরাসীরা বিশ্বাস ভেঙ্গেছে। তিনি সহযোগী ও অধীনস্ত সকলকে আহ্বান করলেন, সমস্ত শক্তি জড় করে বিদেশী দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য অংশ নিতে, সমস্ত ইসলামী জগৎ থেকে হাজার হাজার অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্য দামাস্কাসে জড় হল।শহর অজস্র পতাকা ফেস্টুনের সমুদ্রে ভেসে রইলো বৃষ্টি ও তাপ থেকে বাঁচার জন্য উটের চামড়ার তৈর ছোট ছোট তাবুতে সৈন্যরা আশ্রয় নিল।বিশাল রাজকীয় শিবির কোরানের বানী কবিতার সুন্দর হরফ দিয়ে সজ্জিত কাপড় দিয়ে আবৃত করা হল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct