রিমা সাহা, বেঙ্গালুরু, আপনজন: ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৩০ টি আসনে বিপুল সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জনতা দল (সেকুলার)। আর সেটাই কর্নাটক মুসলিমদের কাছের দল হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসের পক্ষে মাথাব্যথার কারণ হযে দাঁড়াতে পারে। এ নিয়ে জেডি (এস) রাজ্য সভাপতি সিএম ইব্রাহিম বলেন, কংগ্রেসের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে যাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। কারণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়াই একমাত্র নেতা যিনি সত্যিকার অর্থেই এই সম্প্রদায়ের প্রতি যত্নশীল। ইব্রাহিত আরও বলেন, জেডি (এস) প্রায় ৩০ টি আসনে মুসলিম প্রার্থী দিচ্ছে কারণ সেখানে মুসলিম প্রারঈতদের বেশি সম্ভাবনা। যদি তারা সেই ৩০জন মুসলিম প্রার্থী করতে সক্ষম হয়, তবে এটি রাজ্যের কোনও বড় দলের দ্বারা সর্বোচ্চ মুসলিম প্রার্থী করার রেকর্ড সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, কর্নাটক বিধানসভায় ২২৪ সদস্যের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আট জন বিধায়ক সংখ্যালঘু বিধায়ক আছেন, যাদের মধ্যে সাতজন মুসলিম এবং একজন খ্রিস্টান। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ১৮ জন প্রার্থী দিয়েছিল। কর্নাটকজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ১৩ শতাংশ ভোটার রয়েছে। তাদের সমর্থন প্রায় ৬০টি আসনে নির্ণায়ক যেখানে সম্প্রদায়ের ভোট ২০শতাংশ বা তার বেশি। আর রোশন বেগ এবং সিএম ইব্রাহিমের মতো কংগ্রেস মুসলিম কর্মীরা ২০১৮ সাল থেকে দল ছেড়েছেন। কলেজগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করা এবং লাউডস্পিকারে আজানের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনার পর মুসলিমরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চামরাজপেটের বিধায়ক বি জেড জামির আহমেদ খান, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইস্যুতে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, তিনিও জেডি (এস) এ যাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে। তবে, কেপিসিসির কার্যকরী সভাপতি সেলিম আহমেদ বলেন, মুসলিমরা জানে যে কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে। তারা জেডি (এস)কে সমর্থন করবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct