নিজস্ব প্রতিবেদক, নয়াদিল্লি, আপনজন: রাজ্যসভা থেকে বিরোধী দলের ১৯ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। এর আগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে প্ল্যাকার্ডসহ লোকসভায় বিক্ষোভ দেখানোর জন্য সোমবার লোকসভার চার কংগ্রেস সদস্যকে চলতি বাদল অধিবেশনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন স্পিকার। রাজ্যসভার নেতা ও ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা পীযূষ গোয়েল বলেন, রাজ্যসভা থেকে বিরোধী দলের নেতাদের বরখাস্ত করা উদ্বেগের বিষয়। তারা চেয়ারম্যানের অনুরোধ উপেক্ষা করছিলেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সুস্থ হয়ে পার্লামেন্টে ফিরে আসার পর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিতর্ক করতে যাচ্ছে সরকার।
এর আগে সোমবার নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ শেষ হলে স্পিকার ওম বিড়লা বিক্ষোভ দেখানো বরদাশত না করে চার কংগ্রেস সদস্যকে চলতি বাদল অধিবেশনের পুরো সময়ের জন্য সাসপেন্ড করেন। মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় বিরোধী দলের ১৯ সাংসদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বরখাস্তের পর সাংসদরা পার্লামেন্ট ত্যাগ না করে বিক্ষোভ করায় প্রায় এক ঘণ্টা অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়। ভারতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিরোধী দলের এমপিরা অনেক দিন ধরেই সোচ্চার। রাজ্যসভার ১৯ এমপিকে বরখাস্তের ঘটনায় বিরোধী দলের ক্ষোভ আরও বেড়ে যাবে। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি নিয়ে সমালোচনা করায় তাঁদের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে সরকার। এদিকে বরখাস্তের ঘটনার পর অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রকে বরখাস্ত করেছে।’ বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের মধ্যে সাতজনই তৃণমূল কংগ্রেসের। তাঁরা হলেন সুস্মিতা দেব, মওসুম নূর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, শান্তনু সেন, অভিরঞ্জন বিশ্বার, মো. নাদিমুল হক। বাকিরা অন্যান্য বিরোধী দলের। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তৎকালীন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন টিডিপি ও এআইএডিএমকের ৪৫জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct