সম্প্রীতি মোল্লা , কলকাতা, আপনজন: মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বীরভূমের বগটুই মামলার শুনানি চলে। চলতি বছরের গত ২১ শে মার্চ বীরভূমের বগতুই গ্রামে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর ঘটে অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে । যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট বগতুইয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল ।বীরভূমের বগটুইগ্রামে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বগটুই কান্ডের পরে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখানে গিয়ে তিনি মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা অনেকেই চাকরি গ্রহণ করে থাকে। তবে এই ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর দাবি -' এতে তদন্ত প্রভাবিত হবে'। মামলাকারীর আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।বগটুইয়ের ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এরপর। তাঁদের দাবি -' এই মামলা সম্পর্কে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। তাই তাঁদেরও মামলায় যুক্ত করা আবশ্যিক '।এই শুনানিতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় , -' বগটুইকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মামলায় যুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে যদি কোনও বক্তব্য থাকে তা এই মামলার মূল আবেদনকারীকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে'। তিন সপ্তাহ পরেই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।চলতি বছরের গত ২১ মার্চ বীরভূমের বগটুই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় তিনি মৃতদের পরিবারের সদস্যদেরকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর এই চাকরির ঘোষণার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীর অভিযোগ , - 'চাকরির দ্বারা সাক্ষীদের প্রভাবিত করা হচ্ছে'।এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বগটুই কাণ্ডে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মামলায় যুক্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যদি কোন বক্তব্য থাকে, তা মামলার মূল আবেদনকারীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। তিন সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct