সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: স্কুল আছে, আছে ছাত্র ছাত্রী কিন্তু শিক্ষকের অভাবে বন্ধ স্কুল, বন্ধ পঠন পাঠন। ২০১৫ সালে ওন্দা ব্লকের অঙ্গদপুর জুনিয়ার স্কুলের পথচলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির পর আর খুলল না স্কুলের তালা। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল প্রত্যন্ত গ্রামের জুনিয়ার স্কুল। আপাতত পার্শ্ববর্তী দুরের স্কুল ভরসা ছাত্রছাত্রীদের। এখনও অপেক্ষায় গ্রামের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা কখন খুলবে স্কুল, চালু হবে স্কুলের পঠন পাঠন। গেস্ট টিচার না পাওয়ার জন্য খোলা যাচ্ছে না স্কুল সাফাই স্কুল শিক্ষা দফতরের। ওন্দা ব্লকের অঙ্গদপুর গ্রামে ২০১৫ সালে গড়ে উঠেছিল জুনিয়ার হাই স্কুল। তিন জন গেস্ট টিচার ও প্রায় ৭০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় স্কুলের পঠন পাঠন। প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে দূরের স্কুলে যাতে পড়তে যেতে না হয় এবং গ্রামে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাতে এই জুনিয়ার স্কুলের পরিকাঠামো তৈরি করে শুরু হয় পঠন পাঠন। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির পর একেবারেই হোঁচট খেল প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল। গেস্ট টিচারদের অবসরের পর তালা পড়ে গেল স্কুলের দরজায়। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের পঠন পাঠন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই স্কুল ছেড়ে ভর্তি হল গ্রামে থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে অন্য স্কুলে। তবুও গ্রামের স্কুল খোলার অপেক্ষায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct