আপনজন ডেস্ক: কিভাবে অল্প পুঁজিতে, অল্প লোক বলে একটি ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করা যায় সেই সম্পর্কে আজকের আলোচনা। এখানে ৫ টি ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হল। এখান থেকে যেকোন একটি ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন একদিন আপনি সফল হবেন।
১. কাগজ তৈরির ব্যবসা: বহু আগে থেকেই আমাদের দেশে কাগজের চাহিদা ব্যাপক। আশা করা যায় ভবিষ্যতে কাগজের চাহিদা কমবে না। কাগজ তৈরি ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। অফিস-আদালত স্কুল-কলেজ আসলে কাগজ বেশ কদর রয়েছে। কাগজ তৈরির মেশিন এবং কাঁচামাল মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করলেই ব্যবসা শুরু করা যায়। বাজারে সাধারণত এ-টু, এ-থ্রি এবং এ-ফোর মাপের কাগজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও এ ব্যবসার সাথে খাতা তৈরি ব্যবসা সংযুক্ত করা যায়।
২. কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা: আমাদের দেশে শপিংমলগুলোতে কাগজের ব্যাগের চাহিদা ব্যাপক ।আর ঘর থেকে বের হলেই প্রচুর কাপড়ের দোকান রয়েছে এছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাগজের ব্যাগ এর প্রয়োজন হয়। বাড়িতে বসে বসেই কাগজের ব্যবসা সম্ভব। আজকালকার দিনে খবরের কাগজের ব্যাগ তৈরি করেও অনেকেই অর্থ উপার্জন করছেন। এছাড়াও তৈরি করা যেতে পারে হালকা পিচ বোর্ডের বাক্স যেগুলো মিষ্টির দোকান থেকে শাড়ির দোকান ফলের দোকান ইত্যাদিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
৩.মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ তৈরির ব্যবসা: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে এবং এই ফলটিকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আনুষাঙ্গিক তৈরি করে ব্যবসা করা যায়। স্মার্টফোনের আনুষাঙ্গিক এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত যেটি সেটি হল গ্লাস প্রটেক্টর এবং ব্যাক কভার। এই দুইটি জিনিস উৎপাদন করেও আমরা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারি। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র একটি মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৪. ঘরে বসে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা: বাজারে বহু ধরনের বিস্কুটের প্রচলন রয়েছে তবে আপনি যদি ঘরে বসে বিস্কুট তৈরি করে সেটা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেন তবে একটা মোটা অঙ্কের মুনাফা লুটে নিতে পারবেন। এছাড়াও ঘরে তৈরি বিস্কুটের চাহিদাও ব্যাপক। কেননা আমরা বাইরে যে খাবারগুলো খায় সেগুলো অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। বিস্কুট এরশাদ ভালো হলে চায়ের দোকান ভাড়ার মুদি দোকানগুলোতে সহজেই বিক্রি করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওভেন এবং কিছু কাঁচামাল। মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব।
৫. জৈব সার তৈরির ব্যবসা: আমাদের দেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জৈব সারের প্রতি একটি দুর্বলতা রয়েছে। এই বিশাল বাজারে আপনি চাইলে আপনার একটি অবস্থান তৈরি করতে পারেন। নিজের বাড়ির বর্জ্য এবং আশেপাশের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এই জৈব সার তৈরি করা সম্ভব। স্থানীয় বাজার এবং বিভিন্ন লোকের কাছে এই সার গুলো বিক্রি করা যায়। বর্তমানে বস্তা ভর্তি করে জৈব সার বিক্রি করতে দেখা যায়। উৎপাদনমুখী ব্যবসা দিতেও রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct