আপনজন ডেস্ক: কাবা শরীফের গিলাফ বা কিসওয়া চাদরকে নতুন ইসলামী বছরের মহরম মাসের প্রথম দিন আগামী শনিবার প্রতিস্থাপন করা হবে জানিয়েছেন দুটি পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি। কিসওয়া নামে পরিচিত এই চাদর মূলত বিশেষ কালো কাপড়। যার ওপর নকশা করা হয় কোরআনের বিভিন্ন আয়াত। ফুটিয়ে তোলা হয় অন্যান্য নকশাও। ১৬৬ জন টেকনিশিয়ান ও কারিগর রাষ্ট্রপতি প্রধান শেখ আব্দুলরহমান আল-সুদাইসের তত্ত্বাবধানে বার্ষিক প্রথায় অংশ নেবেন।আল-সুদাইস কাবা পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য সৌদি নেতৃত্ব যে বিশেষ যত্ন নিয়েছে তার প্রশংসার কথা তুলে ধরেন। তা তুলে ধরেন। প্রায় ২০০ জন কারিগর ও প্রশাসক পবিত্র কাবা কিসওয়ার জন্য কিং আব্দুল আজিজ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে ডাইং এবং স্বয়ংক্রিয় বয়ন, ম্যানুয়াল বয়ন, মুদ্রণ, সেলাই, কাবার বেল্ট এবং সোনার অংশ নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া।
সেলাই বিভাগটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেলাই মেশিন রয়েছে যার দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার এবং একটি কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে কাজ করে। পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এবার দীর্ঘদিনের রেওয়াজ এ বছর পাল্টে দিয়েছে সৌদি প্রশাসন। প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফাতের খুতবার দিন গিলাফ পরিবর্তন করা হলেও এবছর তা হযনি। পবিত্র স্থাপনায় নতুন গিলাফ ওঠানো হবে হিজরি বছরের প্রথম দিন, পহেলা মহররম। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে নতুন গিলাফ। স্বর্ণ-রূপা খচিত গিলাফ তৈরিতে খরচ পড়েছে যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কিং আব্দুল আজিজ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক ফারেস আল মাতরাফি জানিয়েছেন, ৭০০ কেজি খাঁটি সিল্ক এবং স্বর্ণখচিত ১২০ কেজি রূপার সুতা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই কিসওয়া। এছাড়া সিল্কের আবরণের পেছনে রয়েছে ১০০ কেজি রূপা ও ৩০০ কেজি লাইনিং। সবমিলিয়ে এবারের গিলাফটি তৈরিতে খরচ হয়েছে আড়াই কোটি রিয়াল। কাবা শরীফের ৪২ ফুট উচু এবং ১৪১ ফুট প্রশস্ত গিলাফকে তৈরি করা হয় আলাদা আলাদা ভাগে। কাবার দেয়ালে ঝোলানোর পর জোড়া দেয়া হয় অংশগুলো। তবে এবার গিলাফ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের রেওয়াজে আনা হলো পরিবর্তন। প্রতি বছর হজের মধ্যেই গিলাফ পরিবর্তন করা হলেও এবার পেছানো হয়েছে সময়। নতুন গিলাফ পরিবর্তনের পর পুরানো গিলাফকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করার পর তা উপহার হিসেবে পাঠানো হয় বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct