আপনজন ডেস্ক: কেউ শরীর বাম দিকে কাত করে, কেউ ডান দিকে কাত করে, কেউ উপুর হয়ে, কেউবা চিৎ হয়ে। অর্থাৎ যার যার পছন্দ মতো। তবে বাম কাত হয়ে ঘুমানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বাম কাত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস করলে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা হতে পারে সে সম্পর্কে। এতে নাক ডাকার প্রবণতা কমায়। আপনার সঙ্গী নাক ডাকার অভ্যাস নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ করে থাকে? বাম কাত হয়ে ঘুমিয়ে আপনি এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যারা চিৎ হয়ে ঘুমায় তাদের অনেকেই জোরে নাক ডেকে থাকেন। এর কারণ হলো চিৎ হয়ে ঘুমানোর সময় জিহ্বা, মুখ এবং চোয়াল সম্পূর্ণ শিথিল থাকে, তাই নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী। চিকিৎসক গর্ভবতী নারীদের বাম কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডান দিকের তুলনায় বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে গর্ভবতী নারীর লিভারের ওপর চাপ কম পড়ে। লিভারের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে গর্ভাবস্থায় বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেগন্যান্সির শেষ পর্যায়ে চিৎ হয়ে ঘুমানোর সঙ্গে মৃত বাচ্চা প্রসব করার উচ্চ ঝুঁকি জড়িত। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে বুক জ্বালা কমায়। ঘুমানোর আগে বেশি পরিমাণে খাবার খেয়ে অনেকেই অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় সারারাত ভুগে থাকেন। অ্যাসিড রিফ্লাক্স সেভাবে গুরুতর সমস্যা না হলেও দীর্ঘদিন ধরে যদি অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে থাকলে তা ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাম কাত হয়ে ঘুমালে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হার্টে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। বাম কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপিণ্ড পুরো শরীরে সহজে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct