নিজস্ব প্রতিবেদক, বাদুড়িয়া, আপনজন: ‘শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড’- এই অমিয় বানীকে মার্গ দর্শন করে বঙ্গ মুসলিম সমাজে নবজাগরণের ডাক দিলেন অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামায়াতের সম্পাদক মুফতি আব্দুল মতিন।। শনিবার বাদুড়িয়ার বঙ্গনূর অফিসের কনফারেন্স রুমে দলীয় কর্মীদের একটি আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জাতিকে বাঁচাতে রাস্তার আন্দোলন কার্যকর নয়, তৃণমূল স্তর থেকে জাতীকে সুশিক্ষা দিতে পারলে তবেই জাতি বাঁচবে।” এদিন তিনি প্রধানত জেনারেল শিক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “পবিত্র কোরআন শরীফের প্রথম শব্দ “ইকরা” যার অর্থ পড়, এই পড়া মানে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয় নয়, আর্টস, সাইন্স, কমার্স, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্ত বিষয়ই এই পড় এর অন্তর্ভুক্ত।” কলমের সাহায্যেই জাতি হৃত গৌরব ফিরে পাবে। তাঁর কথায়, “প্রতিটি আদালত, হাসপাতাল, অফিসে আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি করলে তবেই আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারব, ন্যায় বিচার পাব, শরীয়া অনুযায়ী চিকিৎসা পাব।” সাচার কমিটির রিপোর্টে মুসলিমদের অবনতির তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের স্থান ছাব্বিশতম। সেই রিপোর্টে দক্ষিণি রাজ্য কেরালায় মুসলমানদের আর্থসামাজিক অবস্থান ভারতের মধ্যে সব থেকে ভালো। মুফতি সাহেব একাধিকবার কেরালায় সফর করে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন সেখানকার মুসলিম সমাজের শিক্ষাব্যবস্থা কিভাবে তারা ইসলামের মূল নির্দেশনাগুলি মানা ও জানার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করছেন এবং বড় বড় পদে আসীন হচ্ছেন। তাই তিনি ‘কেরালা মডেল’ এর অনুকরণে ‘মডেল ভিলেজ প্রজেক্ট’ চালু করেছেন। ইতিমধ্যে একাধিক গ্রামে কাজও চলছে। এদিনের সভায় অংশ নেন বাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
আগামীতে রাজ্যব্যাপী এই প্রোজেক্ট ছড়িয়ে দিতে কর্মীদের সহযোগীতার আহ্বান করেন। এই কর্মী সভায় অংশগ্রহণকারী বাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কখনও এত গভীরভাবে বিষয়গুলি ভাবিনি, আজ বুঝলাম একমাত্র শিক্ষায় পারে আমাদের মুসলিম সমাজের আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটাতে। আমরা সেই কাজে সর্বত ভাবে নিজেকে সমর্পণ করব।” এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি সম্ভব হবে বঙ্গ মুসলিম সমাজে শিক্ষার নবজাগরণ ঘটানো। মুফতি সাহেবের ডাকে কি পাল্টে যাবে বঙ্গ মুসলিম সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। সময়ই দেবে এর উত্তর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct