সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: তৃণমূল নেতার মদতে এক জীবিতকে মৃত সাজিয়ে জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বের করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। সম্পত্তি ফিরে পেতে ও ষড়যন্ত্রকারীদের আইনমূলক ব্যবস্থার দাবি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার বারমেস্যা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী। বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার বারোমাস্যা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মান্না। একজন প্রাক্তন রাজ্য সরকারের কর্মী। সম্প্রতি নজরে আসে বিশ্বনাথ মান্নার বিপুল সম্পত্তির একটা বড় অংশ রেকর্ড হয়ে গেছে এক নিকটস্থের নামে পরে সেই জমিও হস্তান্তর হয়ে যায় স্থানীয় স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামে এমন অভিযোগ সামনে আসে। এই বিষয়ে জানতে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিশ্বনাথের পরিবারের। তাঁর এক আত্মীয়া বিশ্বনাথ মান্না কে মৃত সাজিয়ে জাল শংসাপত্র তৈরি করে নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকারী স্থাপন করে রাতারাতি বিশ্বনাথ মান্নার সম্পত্তির একটা বড় অংশ নিজের নামে রেকর্ড করে নেয় বলে অভিযোগ। পরে ওই আত্মীয়ার কাছ থেকে বিশ্বনাথ মান্নার পড়োশী হিসেবে পরিচিত গ্রামের এক তৃণমূল নেতা ওই সম্পত্তি নিজের নামে করে নেয়। এই ঘটনার পর থেকে সম্পত্তি ফিরে পেতে ও জাল কারবার করে বে আইনীভাবে সম্মত্তি হাতিয়ে নেওয়া যুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিশ্বনাথ মান্না ও তার পরিবার।
ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে বিশ্বনাথ মান্না কে মৃত সাজিয়ে নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করেন নমিতা পাল নামে এক আত্মীয়া। এই বিষয়ে নমিতা পালের দাবি তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে যে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের সই জাল করে বানানো হয়েছে। তবে কে এই জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের কাজ করেছে তা তারা জানেন না। পঞ্চায়েত প্রধানের সই সিল ও স্থানীয় সদস্যের সই দেখে ধরে নেওয়া হয় ওই ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ঠিক ছিল। পরে নজরে আসার পর থ্রী ম্যান কমিটিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তালডাংরা ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিজয় মান্না প্রভাব খাটিয়ে এই বে আইনী কারবারের যে অভিযোগ সামনে এসে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, এর সাথে বিজয় মান্নার কোন সম্পর্ক নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct