মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: ১৯৯৩ সাল তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্মরণীয় দিন। তখন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসে ছিলেন। ভোটার কার্ড নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল কলকাতা রাজপথে। নদীয়া শান্তিপুরে ফেলানি বসাকের কন্যার সিপিআইএম হার্মাদ বাহিনীর হাতে মৃত্যু হওয়ায় তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে রাইটার্স বিল্ডিং-এ বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়। ২৮ বছর আগের সেই ঘটনা। কিন্তু কেমন আছেন ফেলানি বসাক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলে শান্তিপুরে ফেলানি বসাক। তৃণমূলের‘শহিদ’দিবসে আমন্ত্রিত ৭৪ বছরের সেই ফেলানি!নদিয়ার শান্তিপুরের বেলঘরিয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের ফুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা সেই ফেলানি বসাক এ বারও আমন্ত্রিত তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে !১৯৯৩ সালে ফেলানির মূক এবং বধির মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল এ রাজ্যের রাজনীতি। তার পর যদিও সাপের কামড়ে ফেলানি-কন্যার মৃত্যু হয়। তবে ওই ঘটনাকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ফেলানি এখন বলছেন, জ্যোতি বসু তখন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহাকরণে আন্দোলন করেছিলাম। সে দিন পুলিশ আমাকে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছিল।সামনেই তৃণমূলের শহিদ দিবস।প্রত্যেক বারের মতো এ বারও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফেলানিকে। মমতার বার্তার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।সেই দিনের ঘটনা কথা আজও মনে পড়ে। খুব দুর্দিনের মধ্যে রয়েছে ফেলানি বসাক এখন তার জীবন বাঁচানো মুশকিল ছোট্ট একটি কুড়ের ঘরের ভিতরে বসে বসবাস করে সময় বদলেছে রাজনৈতিক পালা বদল হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা দেখাও করেছে এখনো কোন সুবিধা পাননি ওই বৃদ্ধা। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ ফেলানি
বর্তমান রাজ্যের কারা দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেখা করতে নিয়ে যান তারা, এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাইটার্স বিল্ডিং এর মধ্যে ধর্ষণের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। প্রত্যেকের সচিত্র পরিচয় পত্র দাবি এবং ফেলানীকে বসাকের মেয়ের ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বাংলার হাজার হাজার মানুষ সংঘটিত হয়েছিলো সে সময়, যা মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে সহায়ক ছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল। যদিও ফেলানী বসাকের মেয়ের পরবর্তীকালে সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়ায়, বিচার থেমে যায়।কিন্তু 2011 সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পর সকল প্রকার যোগাযোগ হয়নি, ফেলানী বসাকের পরিবারের সাথে । একমাত্র একুশে জুলাইয়ের মিটিংয়ে যাওয়ার আমন্ত্রন ছাড়া। তবে স্থানীয় শুভঙ্কর মুখার্জি, সেদিন না থাকলেও সাধ্যমত খোঁজখবর নেন তার। কিছুদিন আগে পর্যন্ত শহীদ দিবসের দিন তিনি প্রতিবাদী ধর্ম তলায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবার চেষ্টা করেছেন, হাজারো ভিড়ে পৌঁছাতে পারেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct