মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জল ছাড়াই মাটিতে পাট পচাচ্ছেন চাষিরা। বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের পাট শুকোচ্ছে মাঠেই । আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়তে হচ্ছে চাষিদের।সারা রাজ্যের সাথে নদিয়ার চাষিদেরও একি অবস্থা এবার পাটের ফলন হয়েছিলো ভালো তারজন্যই চাষিরা বুকে আশা বেধেছিলো বেশি লাভের কিন্তু বাধ সেজেছে বৃষ্টি। একদিকে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রখর রোদের তাপে পাট গাছ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে।যার ফলে সময়ের আগেই পাট কেটে ফেলতে হচ্ছে চাষিদের।অন্য দিকে সেই পাট পচানোর জন্য যে জলের প্রয়োজন সেই জলও মিলছেনা । মাথায় হাত পরেছে চাষিদের। বাধ্য হয়েই নিচু জমিতে মাটির উপরেই জল ছাড়া পাটের জাগ দিচ্ছেন তারা। তবে এ ব্যাপারে নদীয়া জেলার দুই একটি পঞ্চায়েতের মানবিক মুখ লক্ষ্য করা গেলেও চাপড়া সমষ্টি উন্নয়ন অফিস থেকে এখনো কোনো সহযোগিতা মেলেনি।
অনেক চাষিরা লোন নিয়েছে ব্যাংকের থেকে কিন্তু সেই লোন কি করে পরিশোধ করবে চাষিরা তা নিয়েও চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাদের।বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাপড়া ব্লক সহ বিভিন্ন ব্লকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পাট চাষ হয়।বৃষ্টি অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে পাট গাছ এবরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাট গাছ লম্বা হয়নি। বিভিন্ন মাঠ থেকে পাট কেটে নিয়েছে ব্যবস্থা করছে কৃষকরা। কৃষ্ণনগর টু করিমপুর রাজ্য সড়কের পাশে শুকনো নয়ানজুলিতে পাট পচানোর ব্যবস্থা করছে কৃষকরা।পাট চাষিরা জহির উদ্দিন মন্ডল জানান এ বছরের বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাট পচানো খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে কোন নয় ঝুলি বা ছোটখাটো পুকুর কোথাও জল নেই। চাষের জমিতে পাট পচানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে, চড়া দাম ডিজেল কিনে মেশিন চালিয়ে জল দিতে হচ্ছে। এবছরের পাট চাষ করে লাভের মুখ দেখতে হবে না চাষীদের। জমিতে পাট রয়েছে, কিছু করার নেই পাট কাটতে হবে না কাটলে জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে পাট গাছ। সেলিম সেখ জানান পাট কেটে নিয়ে মাথায় করে নিয়ে এসে পচানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। লেবার খরচা পড়ে যাচ্ছে সেই সঙ্গে ডিজেল কিনে মেশিন চালিয়ে পাট পচানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বর্তমান যা পাটের দাম তাতে আমাদের এ বছরে লাভের আশা করতে হবে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে যা ফসল হওয়ার কথা তার থেকে অনেকটাই কম হচ্ছে। কিভাবে আমরা আগামী দিন চাষ করবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct