আপনজন ডেস্ক: আহমেদাবাদের একটি স্থানীয় আদালতে ২০০২ সালের দাঙ্গার ঘটনায় জালিয়াতি ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গুজরাত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের কাছ থেকে কোনও অর্থ পাওয়ার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি ২০০২ সালে গুজরাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকারদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার সময় তৎকালীন গুজরাত সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য কোনও “ষড়যন্ত্রের” অংশ হওয়ার বা কোনও লোককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন। আহমেদাবাদের একটি স্থানীয় আদালতে তার জামিনের আবেদনের শুনানির সময় রাজ্য সরকার নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) দ্বারা এই মামলার তদন্ত কারী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তার আইনজীবী এই যুক্তি দিয়েছিলেন। আদালত আগামী ২০ শে জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।
এই মামলার আর এক অভিযুক্ত, প্রাক্তন আইপিএস আর বি শ্রীকুমারও এই মামলা সম্পর্কে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের আনা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। পুলিশ গত সপ্তাহে দাখিল করা হলফনামায় বলেছে তিস্তা যিনি পদ্মশ্রী পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি, আর বি শ্রীকুমার এবং সঞ্জীব ভট্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার প্রমাণ তৈরি করে নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল ও বরখাস্ত করার “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে” অংশ নিয়েছিলেন। হলফনামায় বলা হয়েছে, গুজরাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং প্রয়াত আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে এটি করা হয়েছিল। পুলিশ দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের উদ্ধৃতি দিয়েছে যারা পুলিশকে বলেছে যে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্যদের জড়িত করে রাজ্য সরকারকে টার্গেট করার জন্য তার কাজ চালিয়ে যেতে তিস্তা অর্থ পেয়েছিলেন। পুলিশ দাবি করেছে যে তিনি আহমেদ প্যাটেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ পেয়েছিলেন। যদিও আহমেদ প্যাটেলের মেয়ে এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলেছেন। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ডি ডি ঠক্কর তিস্তা ও শ্রীকুমারের জামিন আবেদনের শুনানি করছেন এবং ২০ শে জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct