নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম, আপনজন: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল নন্দীগ্রাম।হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দলের দুই গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকেরা।ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিস এমন কি তালা লাগিয়ে দেয় খোদ তৃণমূল কর্মীরাই। সংঘর্ষে দু’জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিত্সা চলছে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে।পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সোমবারও পুলিশি টহল অব্যহত।দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে,তৃণমূল যদি এইভাবে দুই ভাবে বিভক্ত থাকে তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আটকানো সম্ভব হবে?সমস্যার সূত্রপাত, রবিবার বিকালে ২১ জুলাই ধর্মতলা শহীদ দিবসের সমর্থনে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ২ অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস একটি পথসভা আয়োজন করেন। নন্দীগ্রাম টাকাপুরা বাজার থেকে মিছিল করে তারপরে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিধায়ক থেকে একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।এরপর অপর এক তৃণমূল গোষ্ঠী তাদেরকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন।এই মিটিংয়ে বুধ সভাপতিকে কোন কিছু অবগত করা হয়নি।কেন ডাকা হয়নি তা কৈফিয়ত চাইতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক দলীয় অফিসে হাজির হন। এরপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অপর তৃণমূল গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।” প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের। তবে বিষয়টি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। তিনি বলেন, “তৃণমূল দলে কোনও নীতি নেই। শুধুমাত্র কাটমানি আর কাটমানি। চুরির টাকা কে ভোগ করবে তা নিয়েই ওদের গণ্ডগোল।তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct