আপনজন ডেস্ক: ইউরোপে চলমান তীব্র তাপদাহ ও ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নেয়া দাবানলে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত পর্তুগালে ৬৫৯ ও স্পেনে ৩৬০ জনের মৃত্যু লিপিবদ্ধ করা হয়। দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রচণ্ড তাপদাহে হিটস্ট্রোক-জল শূন্যতার কারণে বাড়ছে প্রাণহানি। ফ্রান্স-স্পেন ও গ্রিসে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ব্রিটেন ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোতে সোমবারই ৪১ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপ। ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগালে প্রচণ্ড গরম ছাড়াও ব্যাপক জায়গা জুড়ে দাবানল দেখা দিয়েছে। এদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৫টি অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে জারি করা হয়েছে ‘হিট অ্যাপোক্যালিপস’ সতর্কতা।
তীব্র তাপদাহে ব্রিটেনের ইতিহাসে এই প্রথম তাপপ্রবাহের কারণে ‘রেড এলার্ট’ বা লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটিতে সোম ও মঙ্গলবারের তাপমাত্রা ১০০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। স্পেনে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৪০ ওপর উঠছে, পর্তুগালে পারদ উঠেছে ৪৭ ডিগ্রি পর্যন্ত। পশ্চিম ফ্রান্সের বিস্তীর্ণ এলাকা, পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি সহ আরও অনেক দেশে দাবানলের আগুনে হাজার হাজার হেক্টর জমি ও বাড়িঘর পুড়ে গেছে, সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ইউরোপ ও ব্রিটেনের বিশাল অংশ জুড়ে এখন খরা পরিস্থিতি চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এসব দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে, লোকজনকে এমনকি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতেও বারণ করা হচ্ছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে তাপমাত্রা কখনো ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে বলে রেকর্ডে নেই। ব্রিটেনে এর আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি যা হয়েছিল ২০১৯ সালে কেমব্রিজে। সেখানে আবহাওয়া দফতর ইতোমধ্যেই চরম তাপমাত্রার জন্য লাল সংকেত জারি করেছে। এটাও আগে কখনো হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct