নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, আপনজন: স্পিকার সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু মুকুল নিজে বলছেন, তিনি বিজেপি বিধায়ক নন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীকেই। মুকুলকে নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল শাসক শিবিরের। দলত্যাগ আইন থেকে বাঁচাতে তাঁকে বিজেপির বিধায়ক বলেই সরকারি ভাবে দাবি করা হয়। কিন্তু সোমবার মুকুল নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক নন। একই সঙ্গে দাবি করলেন, তিনি তৃণমূলের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হাকেই ভোট দিয়েছেন।সোমবার একটু বেলার দিকেই বিধানসভায় আসেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল। ভোটদান পর্ব শেষে গাড়িতে ওঠার পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কাকে ভোট দিয়েছেন প্রশ্ন শুনেই তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছি। হ্যাঁ হ্যাঁ তৃণমূলকেই।’’ এর পরে প্রশ্ন ছিল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তোলা ক্রস ভোটিংয়ে বিষয়ে। সে প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই মুকুল বলেন, ‘‘ও সব বাজে কথা, ও সব বাজে কথা।’’ কোন প্রার্থী জিতবে? একটুও সময় না নিয়ে মুকুল বলেন, ‘‘তৃণমূলই জিতবে।’’ কিন্তু খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক হয়ে কি তিনি সে কথা বলতে পারেন? নির্বিকার মুকুল বলে ফেলেন, ‘‘না, না আমি বিজেপির বিধায়ক নই।’’ প্রসঙ্গত, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব বিজেপি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন মুকুল। কিন্তু, ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেন। তার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু স্পিকারের বক্তব্য, মুকুল এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। এই পরিস্থিতিতে মুকুলের সোমবারের বক্তব্য তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct