সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: এক নিখোঁজ শুয়োর ঘিরে মামলার শুনানি চললো কলকাতা হাইকোর্টে। ওই শুয়োর কে আদর করে সবাই ওকে ঘনা বলে ডাকত। সেই ঘনাকে তুলে নিয়ে গেছে গত মার্চ মাসে।তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। নিম্ন আদালত ছাড়িয়ে ঘনা কিডন্যাপের মামলা আসে হাইকোর্টে । শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেই কল্যাণী থানাকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি শম্পা সরকার।গত ২৫ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি সাদা গাড়ি ঢোকে আদালত চত্বরে। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসে ৪ জন। তারাই ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে সেই ছবি ।ঘনাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। এই মর্মে কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র। মামলা হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারক নির্দেশ দেন যেভাবেই হোক ঘনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে ঘনার হদিশ মেলেনি। এরপর মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ।এদিন বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন,-’ অবিলম্বে কল্যাণী থানার তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। নদিয়ার পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। খুঁজে বের করতে হবে ঘনাকে’।আদালত জানায় , -’ সিসিটিভিতে গাড়ির নম্বর দেখা গিয়েছে। তাও কেন খুঁজে বের করা গেল না। কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যানিমেল অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হল না? ঘনার অপহরণ মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্ট বড় নির্দেশ দিয়েছে নদীয়া জেলার পুলিশ সুপারকে। অপহরণ হওয়া ঘনার খোঁজ করতে হবে তাঁকেই। হাইকোর্টের আইনজীবীদের খুবই প্রিয় ছিল এই ঘনা। সকলে তাকে খাবার দিত, সেখানের সারমেয়দের সঙ্গেও মিলেমিশে থাকত সে। কিন্তু গত ২৫ মার্চ থেকে তার দেখা মিলছে না। তার নিখোঁজ হওয়ার আগে ওই জায়গায় এক সাদা গাড়ি দেখা গিয়েছিল। সে গাড়ি করেই তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তা থেকেই তা স্পষ্ট। এই ঘটনায় আইনজীবীদের একাংশ কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই, কয়েক জন আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার পুলিশের ভুমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন! কারণ এখনও পর্যন্ত ঘনার খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। তদন্তেও সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct