এম মেহেদী সানি, বারাসাত, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগণা বনবিভাগ এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বন-মহোৎসব উৎযাপিত হল বারাসাতের সত্যভারতী বিদ্যাপীঠে। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফরহাদের তত্বাবধানে শুক্রবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বন-মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের বন ও অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্য সরকারের বন বিভাগের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘এবছর সারা রাজ্যে প্রায় দেড় কোটি চারাগাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্ৰহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ এর সুযোগ্য নেতৃত্বে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে অরণ্য সপ্তাহ পালিত হয়েছে। এই জেলায় বিগত বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বর্তমান জেলা কর্মাধ্যক্ষ।’ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও বলেন, ‘যারা বেআইনি ভাবে গাছ কেটে, পুকুর ভরাট করে বাড়ি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনজন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘যারা বেআইনি ভাবে গাছ কেটে, পুকুর ভরাট করে বাড়ি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে যে আইন প্রয়োগ করা দরকার সেই আইন প্রয়োগ করা হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে গাছ কাটা উচিত নয় পুকুর ভরাট করা উচিত নয়। পাশাপাশি তাদেরকে নিয়ে সচেতনতা শিবির করার কথাও বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘পুরো জেলা জুড়ে চারাগাছ লাগানোর যে পরিকল্পনা গ্ৰহণ করা হয়েছে তা যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন যে কোনো গাছ অতি সহজে কাটা যাবে না। সরকারি নির্দেশিকা মেনে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে গাছ কাটলে নির্দিষ্ট পরিমাণ চারাগাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
বন-মহোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, এই জেলায় সুন্দরবনের বিরাট একটা অংশ অবস্থিত। আম্ফান, ইয়াস সহ অন্যান্য ঘূর্নিঝড়ে বনদপ্তরের কর্মীরা সুসঙ্ঘবদ্ধ যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, এই রাজ্য যে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে তাঁর জন্যই এত কর্মসূচি রূপায়িত করা সম্ভব হয়েছে। আজ বেশ কয়েকজন নবজাতকের মায়ের হাতে সবুজশ্রী প্রকল্পের আওতায় চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়। আগামী দিনগুলোতে বনদপ্তর আরও ভালো কাজ করবে বলে আশাবাদী কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মন্ডল, সহকারি সভাধিপতি কৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী, বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী, কর্মাধ্যক্ষ জাহানারা বিবি, জ্যোতি চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি, ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রাজু সরকার প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct