আপনজন ডেস্ক: দার্জিলিং সফর সেরে কলকাতা যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ” এবং “দক্ষিণবঙ্গ”-এর মধ্যে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাই না। উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। কয়েক দিন আগে তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকেই তিনি সিলমোহর দিয়েছেন, যেখোনে অভিষেক বলেছিলেন, পৃথক উত্তরবঙ্গ শব্দটি পছন্দ করেন না এবং এটি তৃণমুল কংগ্রেসের শব্দকোষ থেকে মুছে ফেলা হবে। তৃণমূলের চেয়ারপার্সন এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে দলটি পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশ সোচ্চার হযেছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছেন এক ঐক্যবদ্ধ রাজ্যের উপর জোর দিতে যাতে কোনও পৃথক আঞ্চলিক পরিচয় নেই।
এ নিয়ে মমতা বলেন, আমার কাছে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। আমরা চাই মানুষ পাহাড় ও সমতল উভয় ক্ষেত্রেই শান্তিতে ও সৌহার্দ্যের সঙ্গে বসবাস করুক। অন্যদিকে, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে এক জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘আমি ‘উত্তরবঙ্গ’ শব্দটি পছন্দ করি না। এখানে কোনও উত্তর বা দক্ষিণবঙ্গ নেই, তবে এক এবং একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। আজ থেকে, এই শব্দটি (উত্তরবঙ্গ) আমাদের দলের অভিধান থেকে মুছে ফেলা হবে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিযোগ করেন বিজেপি তাদের বিভাজনমূলক এজেন্ডা পূরণের জন্য “উত্তরবঙ্গ” শব্দটি ব্যবহার করছে। ২১ শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের সমাবেশের জন্য উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে তৃণমূল সমর্থকদের জন্য আবাসন পরিদর্শনের জন্য বৃহস্পতিবার যখন তিনি সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছান, তখন অভিষেকও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই শব্দটি (উত্তরবঙ্গ) নিয়ে আমার আপত্তি আছে। একটাই বাংলা, তার অন্য কোনও জোন নেই। ওই সব এলাকায় আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল, যে কারণে মানুষ অন্য কাউকে ভোট দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct