রিমা সাহা, বেঙ্গালুরু, আপনজন: কর্নাটক হাইকোর্ট গত ১৫ মার্চ এক রায়ে বলেছিল হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য চর্চার মধ্যে পড়ে না। তাই কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তার শুনানি আগামী সপ্তাহে হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ আগামী সপ্তাহে একটি উপযুক্ত বেঞ্চের সামনে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে বলে আবেদনকারীরআইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ উল্লেখ করেন। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, মামলাটি মার্চ মাসে দায়ের করা হয়েছিল তবে এখনও তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এই বছরের জানুয়ারিতে, কর্নাটকের উদুপির একটি স্কুল শ্রেণীকক্ষের ভিতরে হিজাব নিষিদ্ধ করার পরে একটি বিশাল বিতর্ক শুরু হয়। যার ফলে ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। আদালত গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় স্থগিত করে রেখেছিল। এরপর হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিক্ষোভ, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দেয়, হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য চর্চার মধ্যে পড়ে না। কর্নাটকের স্কুলগুলিতে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিয়ে কর্নাটক হাইকোর্ট তার রায়ে আরও বলেন, ইউনিফর্ম পরার উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি যুক্তিসঙ্গত এবং শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করতে পারে না। এরপরই কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন কর্নাটকের মুসলিম পড়ুয়ারা। উদুপির ছয় জন মুসলিম শিক্ষার্থী এই রাযের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায়। মুসলিম ছাত্রী নিবা নাজের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। আবেদনকারীরা তাদের আর্জিতে জানান, উচ্চ আদালত পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, কর্নাটক শিক্ষা আইনে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ইউনিফর্মের কোনও বিধান নেই। আর হিজাব পরার অধিকার গোপনীয়তার অধিকারের আওতায় পড়ে। তবে, কর্নাটকের হাইকোর্টের রায় বাতিলের আর্জি গৃহীত হওয়ায় শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে তা তালিকাভুক্ত হতে চলেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct