আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের এখনো এমন অনেক জাতি আছে যারা সভ্যতার আলোতে আসতে পারেনি। পৃথিবী সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। একই সঙ্গে নিজেদের সংস্কৃতি থেকেও তারা একটু সরে আসেনি। তেমনই এক জাতি ক্রেয়াং। কম্বোডিয়ার রতনকিরি অঞ্চলে এদের বাস। কয়েকশ বছর ধরে এখানেই আছে তারা। আধুনিকতার ছোঁয়া সেভাবে লাগেনি তাদের গায়ে। আগের মতোই তারা জঙ্গলের কাঠ, পশু শিকার ও মাঠে চাষাবাদ করেই দিন কাটায়। নারী-পুরুষের ভেদাভেদ নেই। তেমনি মদ্যপান কিংবা ধূমপান করার ক্ষেত্রেও ভেদাভেদ রাখেন না তারা। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই উপজাতির মেয়েরা প্রেমিক খোঁজেন হাটে গিয়ে। এখানে প্রেম-যৌনতায় নেই কোনো বাধা। ক্রেয়াং উপজাতির বাবা-মায়েরা সন্তানদের প্রেমে কোনো বাধাই দেন না। বরং তাদের লিভ-টুগেদারের অনুমতিও দেন। এখানেই শেষ নয়, পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে আলাদা ঘরও বানিয়ে দেন। কম্বোডিয়ার ক্রেয়াং প্রজাতি তাদের সমাজকে তৈরি করেছে এভাবেই। ক্রেয়াংদের বাস কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বের একটি দ্বীপ অঞ্চলে। এই গ্রাম পরিচিত ‘প্রেমের গ্রাম' নামেই। ক্রেয়াং উপজাতিরা প্রেম বা লিভ টুগেদারের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়েও এগিয়ে। সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রেম করা এবং সঙ্গীর সঙ্গে লিভ ইন করার অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে এ গ্রামে। কেননা এটাই গ্রামের আইন। মেয়েরা ঋতুমতী হলেই মা-বাবা তাকে সঙ্গী বাছাইয়ের স্বাধীনতা দেন। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক হলেই সঙ্গী খোঁজার ছাড়পত্র পায় ছেলেরাও। প্রয়োজনে তারা কোনো কিছু না ভেবেই করতে পারে লিভ ইন। সেই ব্যবস্থাও করে দেন মা-বাবাই। যুগলের সময় কাটানোর জন্য বাবা-মাই তৈরি করে দেন ‘লাভ হাট’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct