সেক আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে সমস্যায় পড়েছে জেলার চাষিরা।পূর্ব মেদিনীপুরের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।জেলার আশি শতাংশ মানুষজন চাষবাসের উপর নির্ভর প্রায় পঁচিশ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়।২৫ টি ব্লকেই আমন ধানের চাষ হয় থাকে। প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে প্রায় তিন হাজার কেজি ধান উত্পাদন হয়।আমন ধানের মুরশুমে অতিবৃষ্টির জল ও নদী বাঁধ ভেঙে বন্যার কারণে আমন ধান চাষের ক্ষতি হয়। প্রতিবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে গড়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উত্পন্ন হয়। জুন মাসের মত চলতি জুলাই মাসে এদিন পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির ঘাটতি থাকার কারণে বাঙালির প্রধান খাদ্য শস্য অর্থাৎ ধান উৎপাদন কিছুটা কম হবে বলে আশঙ্কা করছে,খাতা কলমে বর্ষাকাল হলেও জেলায় জেলায় বৃষ্টির অভাব আমন ধান চাষীদের বিপাকে ফেলেছে। আমন ধানের বীজতলা তৈরি নিয়ে হলদিয়ার এক কৃষক জানান, বর্ষার শুরুতে বীজতলা তৈরি করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শস্য সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল কান্তি বেরা জানান, জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই সময়টা আমন ধানের বীজতলা তৈরীর সময়। কিন্তু আশা করা যায় বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। জেলা চাষিরা সেই সময় বীজতলা তৈরি করলেও চাষের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct