মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, জামালপুর, আপনজন: দামোদর নদীর তীরবর্তী জমিতে কাজলী জাতের পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন জামালপুরের চাষী। পটল চাষে মাটি ও জমির অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানান ওই পটল চাষী। পটল সাধারণত শীতকালীন ফসল তবুও সারা বছরই পাওয়া যায়। এই চাষের ক্ষেত্রে চাষীরা কাজলী জাতের পটল চাষে আগ্রহী কারণ, এই জাতের পটল দূর রপ্তানিতে নষ্ট হয়ে যায় না। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের অন্তর্গত আড়াশুলের চাষী শরবিন্দু কপাটি কাটা দশেক জমিতে চাষ করেছেন কাজলী জাতের পটল। তিন পুরুষ ধরে করে আসছেন পটল চাষ। পটল চাষী শরবিন্দু কপাটির থেকে জানা যায়, জ্যৈষ্ঠ মাসে পোঁতা হয় পটলের মূল, ঠিক তার এক বছরের পর থেকেই তোলা যায় ফসল। একবার মূল পোঁতা হলে ৪-৫ বছর যাবৎ পাওয়া যায় পটল। জমি থেকে টাটকা পটল তুলে বাড়িতে খাওয়ার পাশাপাশি বাজারে বিক্রিও করছেন তিনি। পটল চাষে খরচাও খুব একটা বেশি নয় বলেই জানান পটল চাষী। ১০ কাঠা জমিতে পটল চাষ করে পেয়েছেন কুড়ি বস্তা পটল। তবে বর্তমান সময়ে বাজার দর খুব একটা ভালো না হলেও চাষের খরচ ছাড়া বেশ ভালোই পেয়েছেন পটলের মুনাফা। বর্তমান বাজারে পটল পাইকারি ৬-৭ টাকা কেজি দরে বাজারজাত হচ্ছে বলে জানান পটল চাষী শরবিন্দু কপাটি। ২০ শতক জমিতে দশ হাজার টাকা খরচ করে ছত্রিশ হাজার টাকা পকেটে পুড়েছেন তিনি। পটল চাষী শরবিন্দু কপাটি পটল চাষ সম্পর্কিত কথা বলতে জানিয়েছেন, যে মূল জমিতে আছে, যখন সেই মূল তুলে দেওয়া হবে সেগুলিও বিক্রি হবে ভালো টাকায়, তাই পটল চাষে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতির চেয়ে লাভ-ই ষোলোআনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct