সেখ মহম্মদ ইমরান, গড়বেতা, আপনজন: জন্মদিন মানেই ডিনার পার্টি সহ বিভিন্ন ভুরিভোজের আয়োজন হয়ে থাকে । তবে সে পথে না হেঁটে গড়বেতার একজন পড়ুয়া ও শিল্পী হাঁটলেন এবার অন্য পথে। জঙ্গলমহলের এক প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে গিয়ে একটু অন্য ধারার জন্মদিন পালন করলেন তিনি। গ্রামের নাম কয়মা। গড়বেতার এক নং ব্লকের অন্তর্গত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। সেখানে প্রায় পঞ্চাশ জনের বেশি শিশু হঠাৎ করেই এই আনন্দে শামিল হয়ে গেল। পড়ুয়ার নাম অঙ্কিতা দে। উমাদেবী বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী । তাঁর নিজের ইচ্ছাতেই আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে জন্মদিন পালন না করে দূরবর্তী আদিবাসী গ্রামের পড়ুয়াদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিলেন। পিতা শান্তুনু দে। পেশায় একজন শিক্ষক। এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিন বিকেলে অঙ্কিতা পড়ুয়াদের সামনে কেক কাটে ও জন্মদিন পালন করেন।
উপস্থিত কচি কাচাদের মাঝে সংগীত পরিবেশনও করেন অঙ্কিতা। অঙ্কিতার বাবা তথা শান্তুনু দের কথায়, বাড়িতে ডিনার পার্টি বা বার্থডে পার্টি এসব থেকে বেরিয়ে যদি সমাজের ওই ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের মুখে এভাবেই হাসি ফোটানো যায় তাতে অসুবিধা কোথায়। পার্টি থেকে আরো অনেক অনেক বেশী আনন্দদায়ক এবং আত্মতৃপ্তির অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়ায় এ ধরনের ব্যতিক্রমী কর্মসূচী। এই আনন্দে শামিল হতে পেরে খুশি গড়বেতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিভিল আর্মি। সিভিল আর্মির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও বৃক্ষবন্ধু সুব্রত নিয়োগী মহাশয়,প্রাক্তন ক্রীড়াবীদ শ্যামল কুমার সাহা ,শিক্ষক মানস বাঁকুড়া সুশান্ত প্যারিয়াল,সুব্রত নায়ক,শ্রাবনী মল্লিক,রখুনাথ মন্ডল প্রমুখ।এই আনন্দে শামিল হতে পেরে খুশি পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ মন্ডল, শিক্ষক বিপ্লব ব্যানার্জী। হেমব্রমও খুব খুশি । তাঁদের কথায়, এ ধরনেরও যে জন্মদিনের একটা অনুষ্ঠান করা যায় তা তাদের মাথাতেই আসেনি । শিশুদের আনন্দে তাঁরাও উচ্ছ্বসিত আর শিশুরা এক অপরিচিত মানুষের জন্মদিন যেভাবে আনন্দ করলো এবং নানান উপহার সামগ্রী হাতে পেল তাতে ওরাও ভীষণ খুশি ।খুশি অভিভাবকরাও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct