বাবলু প্রামানিক, বারুইপুর, আপনজন: ওই পরিবারের আত্মীয়দের কথায়, গত ১ জুলাই কলেজ পড়ুয়া বর্ষা মুহুরী তার মা নিবেদিতা ও মামা সুব্রত চৌধুরী। এবং উজ্জ্বল মিত্র ও তার স্ত্রী ও মেয়ে। এবং উদয় ঘোষ নামে আরেকজন অমরনাথ দর্শনের জন্য রওনা হয়েছিলেন। মুহুরী পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘বারুইপুর থেকে ১ জুলাই রওনা দেয় ওরা,৫ জুলাই পেহেলগাঁও পৌঁছে গিয়েছিল ওরা সবাই। ১৬ জুলাই ফেরার কথা ছিল,তারপর বিপর্যয় মুখে পড়েছে। আমাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল। শুক্রবার উদয়বাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সবাই কমবেশি জখম হয়েছেন। উদয় বাবুরা তেমন প্রশাসনিক সাহায্য পাচ্ছেন না।
শোনা যাচ্ছে, বর্ষা বেঁচে নেই। উদয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার মুখ থেকেই বর্ষার বিষয়টি জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভূগোল নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছে বর্ষা। এখন পিএইচডি করছিল। বরাবর ভ্রমন প্রিয় ছিলো বর্ষা, এই ভাবে অমর নাথে গিয়ে মৃত্যু হবে তা ভাবেনি চক্রবর্তী পাড়ার লোকজন.তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য বর্ষার মৃত্যুর কোন খবর নেই। দুর্ঘটনা কবলিত পরিবারের আত্মীয়রা জম্মুর উদ্ধার কার্যে থাকা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিকাশ দত্ত বলেন,”আমরা কয়েকটি সূত্র মারফত ওই পরিবারগুলির বিষয় জানতে পেরেছি। রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ খবর করা হচ্ছে। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনিও ওই পরিবার গুলির বিষয়ে খোঁজখবর করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন।”পরিবারের লোকজনের আশা শীঘ্রই তাার ঘরে ফিরে আসবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct