রঙ্গিলা খাতুন, খড়গ্রাম, আপনজন: মনিপুর নানি জেলায় ধ্বসের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং গোর্খা টেরিটরিয়াল আর্মির ১০৭ ব্যাটেলিয়ানের প্রীতম কুমার দত্ত। সোমবার গভীর রাতে দেহ ফিরে বাড়িতে। ট্রেনিং করার পর গ্রামে ফিরেছিলেন প্রীতম । ছুটি কাটিয়ে যাওরা পর পোস্টিং হয় মণিপুরে। সেখানেই কর্মরত ছিলেন প্রীতম। ১৯ বছর বয়সেই টেরিটোরিয়াল আর্মিতে চাকরি পেয়েছিলেন মেধাবী প্রীতম। ছিলেন গ্রামের সকলের পছন্দও করত তাঁকে। যেদিন ধস নামে সেদিন রাত্রি ৮ টা ১০ পর্যন্ত কথা হয় মায়ের সাথে। প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ কথা হয় বন্ধুদের সাথেও। তারপর থেকেই কোন খোঁজ মিলছিল না প্রীতমের। রবিবার দুপুরে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, ধসের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। সোমবার গভীর রাতে গ্রামে ফেরে প্রীতমের দেহ।
চোখের জলে, গান স্যালুটে টেরিটরিয়াল আর্মির জওয়ান প্রীতম কুমার দত্ত’কে বিদায় জানাল প্রীতমের গ্রাম বালিয়া । মণিপুরের ননে জেলায় ধস নামার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন খড়গ্রামের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা টেরিটরিয়াল আর্মির জওয়ান প্রীতম কুমার দত্ত । রবিবার উদ্ধার হয় বছর তেইশের প্রীতমের দেহ। মঙ্গলবার সকালে বালিয়া গ্রামে গান স্যালুটের মাধ্যমে প্রীতম কুমার দত্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। মঙ্গলবার সকালে বালিয়া ভেরামারি মাঠে শ্রদ্ধা জানান খড়গ্রামের বিধায়ক আশীষ মার্জিত, খড়গ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বাপি ধর, কান্দি মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক সাগর রানা । ভারতীয় সেনাবাহিনীদের পক্ষ থেকে গান স্যালুটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।গ্রামের ছেলে প্রীতম দত্তকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য গ্রামের মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct