নিজস্ব প্রতিবেদক, ফুরফুরা, আপনজন: ঐতিহাসিক হুল দিবস উপলক্ষে আজ হুগলির ফুরফুরা শরীফে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহাম্মাদ নওসাদ সিদ্দিকী, অফিস সম্পাদক নাসির উদ্দিন মীর, অতিশ্বর মান্ডি প্রমুখ। বক্তারা হুল দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ঐতিহাসিক আন্দোলনে সিধো কানহোদের নেতৃত্বে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন। বলা যেতে পারে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ওটাই ছিল এইদেশের শোষিত-বঞ্চিত-লাঞ্ছিতদের প্রথম বিদ্রোহাত্মক গণ আন্দোলন। এই প্রসঙ্গে বর্তমানে জল-জমি-জঙ্গলের যে আন্দোলন আদিবাসীরা করছেন তার প্রতি পূর্ণ সংহতি জানান। তিনি বলেন, এই রাজ্যে ২০০৬সালের বনরক্ষা আইন সম্পুর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্পোরেট লুঠেরাদের হাতে যে জমি তুলে দেবার তোড়জোড় হচ্ছে তাকে বন্ধ করতে হবে। জমি রাখতে হবে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে। বীরভূমে দেউচা-পাচামি এলাকায় খোলা মুখ কয়লা প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কোনভাবেই স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের উচ্ছেদ করা যাবে না ও ঐ এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করা যাবে না।এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম তপশিল লাগু এবং পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করার দাবি জানান । নাসিরউদ্দিন মীর বলেন সিধু কানুদের আত্মত্যাগকে সেভাবে তুলে ধরা হয়নি, মর্যাদা দেওয়া হয়নি। বেনিয়া গোষ্ঠীর হাতে দেশের সম্পত্তি বিক্রির করে দেওয়া হচ্ছে তাই আজও সিধু কানুদের মত নেতৃত্ব প্রয়োজন। আতিশ্বর মান্ডি বলেন সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব, ফুলো ও ঝনু ছয় ভাই বোন পুরো পরিবার এই আন্দোলনে শহীদ হয়ে যায় যা স্বাধীনতা আন্দোলনে অনন্য নজির। দলিত আদিবাসী সংখ্যালঘু পিছিয়েপড়া মানুষের জন্য আন্দোলন করছে আইএসএফ। জল জমি জঙ্গলের অধিকার রক্ষার জন্য আইএসএফ লড়াই চালিয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct