এম মেহেদি সানি, কলকাতা, আপনজন: বৃহস্পতিবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে পঞ্চম কলকাতা গারমেন্ট এক্সপো ২০২২-এর সূচনা হল। এর সূচনা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনদিনের এই মেলা শেষ হবে শনিবার। মেটিয়াবুরুজে আট থেকে দশ লাখ লোকের একটা জায়গাতে হয় কর্মসংস্থান হয়। বাংলায় সব থেকে ছো্ট্ট এলাকায় যদি সব থেকে বেশি কর্মংস্থান হয় সেটা মেটিয়াবুরুজ। এখানে যে কারিগররা রয়েছেনন তারা নিঃসন্দেহে বিশ্বেরর শ্রেষ্ঠ কারিগর। মেটিয়াবুরুজের বহু মানুষ আছেন যারা নন্দীগ্রাম থেকে আসেন। বহু জায়গায় থেকে আসেন এতদিন মেটিয়াবুরুজ উপেক্ষিত ছিল। মেটিয়াবুরুজে গারেমন্ট হাট নিয়ে একটা বড় হাব তৈরি হয়েছে। এর পরিধি একদিকে মহশেতলা অন্যদিতে নদী পেরিযে হাওড়াতেও চলে এসেছে। ওরা হাটে যায়, কাঁপড় বেঁধে নিয়ে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর এই শিল্পটার ব্যাপারে রুচি আনার পরে এখন সব কিছু অনলাইনে হয়। জিএসটি সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছিল। ফিরহাদ বলেন, বহু ব্যবসায়ী ব্যবসার পরিধি বাড়াতে জয়াগা এখানে জায়গা নিয়ে নিযেছেন। তারা উৎপাদন শুরু করবে।। তারা র মেটিরিয়াল আনতে আর মুম্বাই যেতে চাইছেন না। তাই তারা এখানে স্পিনিং মেশিন বসানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ফিরহাদ বলেন, গত ৩৪ বছরের বাংলায় শিল্প তলানিতে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রে সৌজন্যে আবার বাঙলায় শিল্পের সুপিরবেশ ফিরে াাসছে। তাই আজিম প্রেমজি, আদানি গোষ্ঠী, এল অ্যান্ট টির মতো শিল্পগোষ্ঠী একানে আরও বেশি জায়গা চাইছে। তারা বরছে, বাংলাই হচ্ছে সবচেয়ে কাজের উপযুক্ত। তিনি নেগেটিভ চিন্তা বাবনা বাদ দিয়ে পজিটিভ চিন্তাভাবনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফিরহাদ বলেন, এই গারমেন্ট এক্সপো-তে বিদেশ থেকে বব্যবসাীয় প্রতিনিধিরা এই গারমেন্ট এক্সপোতে আসছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন। এই মেলা থেকে জিনিস দেখে আদান প্রদান করছেন। আরও বড় মাপের এই ধরনের মেলা করারর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৩৪ বছর পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। পুরনো কথা ছেড়ে দিয়ে নতুন ভাবে এগিয়ে চলে ভারতবাসী হিসেবে নতুন ইতিহাস তৈরি করুন। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে শুধু দেশের মধ্যে নয় বিশ্বের মধ্যে বাংলাকে এক নম্বরে নিয়ে যাব। এদিনের গারমেন্ট এক্সপোকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়।
এই গারমেন্ট এক্সপোর অন্যতম কর্মকর্তা ও বাংলার রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি তথা মেটিয়াবুরুজের বিশিষ্ট পোশাক শিল্পপতি আলমগির ফকির ‘আপনজন’কে জানান, এই এক্সপোতে মেটিয়াবারুজের যারা পোশাক তৈরি করেন তাদের নিজস্ব উৎপাদন সামগ্রীর নমুনা নিয়ে নিজের নিজের স্টলে উপস্থাপন করছেন। এই নমুনা পোশাক সারা ভারত থেকে আগত ক্রেতারা এখানে এসে বুকিং করছেন। পরে আমারা তাদেরকে তাদের অর্ডার মতো সাপ্লাই দেব। তিনি আরও বলেন আমরা যা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি ক্রেতারা এসেছেন।আলমগির ফকির বলেন, আমরা যারা রেডিমেন্ট গারমেন্ট তৈরি তাদের কাঁচামাল আসে গুজরাতের সুরাত, আহমদাবাদ থেকে। এখানে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি এখানে যদি কাপড়ের মিল হয়, কাঁচামালের যোগানটা এখান থেকেই পাওয়া যায় তাহলে আমরা আরও কম দামে বেশি করে পোশাক তৈরি করতে পারব। তিনি আরও জানান. জিএসটি নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সমস্যায়। তা নিয়ে ২ শনিবার সেমিনারে আলোচনা হবে। তবে তিনি জানান, কীভাবে বিশ্বের দরবারে বাংলাকে পৌঁছতে পারি তার নিয়েও ওই সেমিনারে আলোচনা হবে। আরও এগিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য সেমিনারে আলোচনা হবে। দিল্লি মুম্বাই থেকে রফতানিকারীরা আসবেন। আমাদের কথা সরকারকে জানাব। সরকার সহযোগিতা করলে আমরা আরও এগিয়ে যাব। প্রায় একই কথা বলেন বাংলার রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদ আলি মোল্লা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct