বিশেষ প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু, আপনজন: জাতপাত থেকে এখনও রেহাই পাচ্ছেন না কর্নাটকের দলিতরা। দেবনাগরি জেলার কানাকাট্টে গ্রামে এক দলিত আশাকর্মী গিয়েছিলেন জলে লার্ভা আছে কিনা নমুনা পরীক্ষা করতে। কিন্তু গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকজন তাকে ঢুকতে দিলেন না। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে এখানে একটি রহস্যময় জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় আনাবুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কানাকাট্টে গ্রামে। গোটা গ্রাম রহস্যজনক জ্বরে ভুগতে থাকায় আশা কর্মী শারদাম্মা প্রাথমিকভাবে লার্ভা সার্ভে করতে জলের নমুনা সংগ্রহ করতে গ্রামে হাজির হন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে দলিত বলে আপত্তি জানায়। উচ্চবর্ণের লোকেরা তাকে গ্রামে ঢুকতে দেননি। কিন্তু পরে তহশিলদার ও তালুক পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অফিসারের হস্তক্ষেপে তাকে শেষ পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর শারদাম্মাতহসিলদার সন্তোষ কুমার এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার লক্ষ্মীপতির কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘উচ্চবর্ণের কিছু গ্রামবাসী আমাকে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। তবে উচ্চ-আপদের চাপ থাকায় আমাকে আমার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তাদের অসহযোগিতার কারণে, আমি বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারিনি। সন্তোষ কুমার কুমার এ নিয়ে বলেন, আমরা গ্রামবাসীদের সাথে একটি বৈঠক করেছি এবং আশা কর্মীকে সহযোগিতা করার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরা শারদাম্মাকে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের রিপোর্ট করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছি।জেলা সার্ভিল্যান্স অফিসার ডাঃ জিডি রাঘবন বলেন, এটা রহস্যজনক জ্বর নয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কারণ গ্রামবাসীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওভার-দ্য কাউন্টার ওষুধ সেবন করেছে এবং হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামে এখন পর্যন্ত ছয়টি চিকুনগুনিয়া এবং দুটি ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে এবং রোগীদের মাল্লাপুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যেখানে তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct