সেক আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সিবিআই-ইডির পক্ষপাতিত্ব চলবে না। এই দাবিতে সোমবার পথে নেমেছিল তৃণমূল, কাঁথির পাশাপাশি হলদিয়ায়, গত ২৪ জুন বোমা ফাটিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন স্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। তাকে ৬ কোটি দিয়েছিলেন। এরপরই শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।শুভেন্দু অধিকারীর ভিটে থেকেই গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে পথে নামল হাজার হাজার তৃনমূল কর্মী সর্মথকরা।রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বদলের মেঘ ঢেকেছে পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ।এমতাবস্থায় এবার একেবারে তাঁর এলাকাতেই তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ কাছ থেকে এদিন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মিছিল করলেন। কাঁথি শহরে মেচেদা বাইপাসে পথসভাও করেন। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরে শিল্পনগরী হলদিয়াতে একই দাবিতে সরব হন মন্ত্রী থেকে তৃণমূল নেতৃত্বরা। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সভাতে আসেন রাজ্যস্তরে একাধিক নেতৃত্ব।কাঁথির সভাতে দেখতে পাওয়া যায় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষকে।শিল্পনগরী হলদিয়াতে দেখা যায় মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা,রাজীব ব্যানার্জি,সৌমেন কুমার মহাপাত্র কে হলদিয়া আইটিআই মাঠ থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। শেষ হয় ক্ষুদিরাম স্কোয়ারে।
সভা পরিচালনা করেন জেলা সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডল, তৃণমূল সূত্রের খবর,মিছিল ও পথসভাতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল।এখান থেকেই মত্স্যমন্ত্রী অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন,“অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। যত পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে বিজেপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে! চোরের মায়ের বড় গলা আসলে। উনি বিহার থেকে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন।!অপর দিকে হলদিয়ায় শিউলি সাহা বলেন,’’নারদার টাকা কাগজে মুড়ে পকেটস্থ করতে দেখা গিয়েছে যাঁকে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? হলদিয়াবাসী তো সবই দেখেছিলেন টিভিতে!’’ রাজীব ব্যানার্জীর বলেন শুভেন্দু সকল কে ব্যবহার করছে, আর কাঁথির সভামঞ্চ থেকে অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘’সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না। বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে। গরিবের টাকা যাঁরা মেরেছেন, তাঁরা আজ বিজেপিতে নাম ঢুকিয়ে, ভাজপা মেশিনে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct