মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদীয়া জেলার রাণাঘাট দুই নম্বর ব্লকের মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হুমনিয়াপোঁতা গ্রামে সাত লক্ষ টাকা ব্যয়ের সজলধারা প্রকল্পের ১ মাসেই ভেঙে পড়লো মাঝেরগ্রামের ৭ লক্ষ টাকার সজলধারা প্রকল্প কাটমানির শতাংশ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেতে থাকলে উন্নয়ন যে কোন পথে হয় তা দেখিয়ে দিচ্ছে নদিয়ার জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত। একমাসের মধ্যেই ভেঙে পড়ল প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ের সজলধারা প্রকল্প। ঘটনা রানাঘাট ২ ব্লকের মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হুমনিয়াপোঁতা গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হুমনিয়াপোঁতা মধ্য বুথের তুফান দাসের বাড়ির সামনে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সজলধারা প্রকল্পের জন্য পাকাপোক্ত ভাবে একটি কংক্রিটের শেড তৈরি হয়।মাস খানেকের একটু বেশি সময়ের মধ্যেই একদিন ভেঙে পরে সেই সজলধারার শেড।তড়িঘড়ি প্রকল্পের বোর্ড ও জলের ট্যাংক অন্যত্র সরিয়ে দেয় স্থানীয় শাসক দলের কর্মীরা।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ খুবই নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করে বলে জানায় কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ,তাতে জলের চাপ আর সহ্য করতে পারেনি সেই কংক্রিটের ঢালাই। বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা বলছে উন্নয়নের ভার সহ্য করতে না পেরেই ভেঙে পরেছে সজলধারা!বিরোধী দলের নেতারা শুধু নয়,তৃণমূলের অনেক নেতারই অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান প্রিয়াঙ্কী পাল নামেই প্রধান,তার স্বামী সুবীর পালই পঞ্চায়েত চালান। কাটমানির গল্প তো রয়েছেই।জেলা নেতৃত্বের কাছে মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের অনেক পঞ্চায়েত সদস্যই দাবী করেছেন আর এই দুর্নীতিবাজদের টিকিট দেওয়া যাবে না। এই সজল ধারা প্রকল্প ভেঙে পড়া নিয়ে বিভিন্ন দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে যে পরিমাণের দামি জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করার কথা সেই পরিমাণে জিনিসপত্র তৈরি হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে একাধিকবার এই সজল ধারা প্রকল্প নিয়ে বারবার জানিয়েছে সেক্ষেত্রে এই পঞ্চায়েতে কেন এমন হলো এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তবে পুরো বিষয়টা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct