আপনজন ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে ৫ দিনের হেফাজতে নিল গুজরাত রাজ্য গোয়েন্দা। আর গুজরাত সরকার বিশেষ তদন্ত কমিটি ‘সিট’ গঠন করল। শনিবার গুজরাত এটিএস তিস্তা শীতলবাদ এবং প্রাক্তন পুলশ অফিসার শ্রীকুমারকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয়। শীতলবাদকে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদে নিয়ে আসে এটিএস। অন্যদিকে শনিবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় শ্রীকুমারকে। আহমেদাবাদের একটি মেট্রোপলিটন আদালত সামাজিক কর্মী তিস্তা শীতলবাদ এবং গুজরাতের প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারকে পাঁচ দিনের সিট-এর হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়, ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ফৌজদারি কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এর পাশাপাশি, গুজরাত সরকার রবিবার একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তদন্ত দল রাজ্য এটিএস ডিআইজি দীপন ভদ্রনের নেতৃত্বে কাজ করবে। এই দলটি তিস্তা শীতলবাদ, শ্রীকুমার এবং আইপিএস সঞ্জীব ভট্টের বিরুদ্ধে মামলাগুলি তদন্ত করবে, যেগুলি অনুসারে তিনটিই ২০০২ গুজরাত দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত।
ছয় সদস্যের এসআইটি দল সূত্রে জানা গেছে, এই ছয় সদস্যের এসআইটি দলে থাকবেন ডিসিপি ক্রাইম চৈতন্য মন্ডলিক, এটিএস এসপি সুনীশ জোশী, বিশেষ অপারেশন গ্রুপের ডেপুটি এসপি বিসি সোলাঙ্কি। তদন্তকারী কর্মকর্তা থাকবেন বিসি সোলাঙ্কি। একইসঙ্গে একজন মহিলা পরিদর্শকও দলে থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্ত করা হবে। উল্লেখ্য, শনিবার মুম্বাইয়ের জুহুর বাড়ি থেকে তিস্তাকে গ্রেফতার করার পর ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ডিএ যাদবের সামনে তাদের দুজনকেই হাজির করে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তিস্তা সেটালভাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, শীতলবাদতদন্তের সময় পুলিশকে সহযোগিতা করছেন না। অন্যদিকে, শীতলবাদকে হেফাজতে নেওয়ার সময় তাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ষূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশে তাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct