সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের অন্তর্গত - চাতরা মোড় থেকে বাঁশিচন্ডীপুর যাওয়ার অন্যতম রাস্তার বেহাল দশা। পুরো রাস্তাটি ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। আর এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষের যাতায়াত, পাশেই রয়েছে “টানাদিঘী হাইস্কুল - শুকজোড়া, দাসদিঘী, ফুটিডাঙ্গা, গেলিয়া - গ্রামের স্কুলপড়ুয়াদের এই স্কুলে যেতে হলে, এই খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। অপরদিকে এই রাস্তার উপর দিয়ে স্থানীয় বালি খাদে যায় ৬ চাকার লরি, রাস্তার পাশেই তৈরি হয়েছে দুদুটি টোলট্যাক্স অফিস, একটি বাঁকুড়া জেলা-পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলে। অন্যটি গেলিয়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের আন্ডারে, স্থানীয় এলাকার মানুষজন বলছেন কয়েক বৎসর আগে এই রাস্তাটি “মোরাম” দিয়ে পেসাই করা অবস্থায় ছিল। কিন্তু কয়েক বৎসর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষথেকে পিচ দিয়ে পাকা রাস্তা তৈরি করে দে। তখন আমরা ভেবে ছিলাম খুব ভালো হয়েছে- আর কাদামাটি ঘেঁটে রাস্তা পাড়া-পার করতে হবেনা। কিন্তু সেই সময়ের ভাবনা এখন স্কুল পড়ুয়া সহ এলাকার মানুষদের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিক পরিমাণে বালির ট্রাক্টর ও খালি-লরিগুলি যাওয়ার জন্য রাস্তার উপরের পিচ উঠে গিয়ে বড়-বড় পাথরের টুকরা বেরিয়ে গেছে ।
যারফলে এই রাস্তার উপর দিয়ে স্কুল পড়ূয়া সহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের যাতায়াতের পথে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন আশেপাশের ৬-৭টি এলাকা জুড়ে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস । গ্রামের পাশেই রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষের জমি। মাঠের পাকা ধান ও অন্যান্য ফসল, বাড়ি আনার সময় জেলা পরিষদের এজেন্টদেরকে গাড়ি পিছু দিতে হচ্ছিল টোলট্যাক্স। গ্রামে বসবাস করে অল্প কিছু জমি চাষ করে পেট চালায় আমরা, কেন দেব টোলট্যাক্স সেই নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা। চাষিরা বলছেন এই রাস্তা দিয়ে প্রতি মাসে কয়েকশো বালির লরি পেরিয়ে যায় সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করে টোলট্যাক্স ওলারা অথচ এখন পিচের উপর পিচ না দিয়ে, ডোবাগুলিতে মোরাম দিয়ে রিপেয়ার করে দিয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন , সত্যিই রাস্তাটি খুব খারাপ অবস্থা হয়েগেছিল জেলা পরিষদের আধিকারিকদের বারংবার বললেও ওনারা কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড থেকে আপাতত কিছু মোরাম দিয়ে গর্তগুলি বুজিয়ে দিয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct