নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দীর্ঘদিন ধরেই হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার দৌলত নগর গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে রাতের অন্ধকারে বসে দুষ্কৃতীদের আড্ডা।চলছে মদের আসর।স্কুলের সীমানা প্রাচীর না থাকায় এই বালিকা বিদ্যালয় নির্জন জায়গার সুযোগ নিচ্ছে সমাজবিরোধীরা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে। স্কুলের ছাত্রী এবং শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষিকারা একই অভিযোগ তুলেছেন। রাতেরবেলা দুষ্কৃতীদের ঠেক। প্রতিদিন স্কুল খুললেই দেখা যাচ্ছে স্কুলে পড়ে থাকছে মদের বোতল,নেশা সামগ্রী,মহিলাদের নগ্ন ছবি ও কনডমের প্যাকেট সহ আরো আপত্তিকর জিনিসপত্র। সীমানা প্রাচীরের দাবি জানিয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা প্রশাসনের দরবারে বারবার আবেদন জানিয়ে কোনো ফল হয়নি। সামনে শেষ হবে গ্রীষ্মের ছুটি। তারপরে আবার নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকার ছাত্রী, শিক্ষিকারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোয়েল গুহ জানান,বিদ্যালয় সীমানাপ্রাচীর না থাকার কারণে দিনের বেলাতে বিদ্যালয় এবং ক্লাস রুমের মধ্যেও গরু ছাগল ঢুকে পড়ে। বিদ্যালয়ের পাশেই হাট।সেখান থেকেও মাঝে মাঝে কিছু দুষ্কৃতী ও নেশা আসক্ত ব্যক্তি বিদ্যালয় ঢুকে মেয়েদেরকে উত্তপ্ত করছে। মেয়েদের বাথরুমে ঢুকে পড়ছে জোর করে। প্রতিদিন আমরা স্কুলে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি স্কুলের বিভিন্ন ঘরে মদের বোতল নেশার সামগ্রী এবং বেশ কিছু আপত্তিকর জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ে জলের কল গুলিকেও ভেঙে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেম্বার প্রকাশ ঘোষ, জানান জুনিয়ার গার্লস হাই স্কুল নদীর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় অবস্থিত। ওই বিদ্যালয় রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন রকম ভাবে অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলে শুনেছি। প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর এর জন্য আবেদন জানিয়ে কোনো ফল হয়নি। প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয়গিরি জানান ঘটনাটি অনেক দিনের এই সমস্যা নিয়ে এর আগেও স্থানীয় গ্রামবাসী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমি এর আগেও থানাতে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। করিয়ালি চক্রের এসআই মনিরুল ইসলাম জানান ওই এলাকার গ্রামবাসী এবং ছাত্র-শিক্ষক মিলিতভাবে একটি আবেদনপত্র অবিলম্বে জমা করুন। সমাধানের জন্য খতিয়ে দেখা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct