আব্দুস সামাদ মন্ডল, হুগলি, আপনজন: দিন কয়েক আগে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর বৈবাহিক জীবন নিয়ে এক টিভি শোতে কটূক্তি করেন বিজেপির বহষ্কিৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লির বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল। তার প্রতিবাদ দেশ ধেকে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে বাদ যাচ্ছে না এ রাজ্যও। শুক্রবার ফুরফুরা শরীফের ইউসুফ সিদ্দিকীর ডাকে এক বিরাট প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ফুরফুরায় তার বাড়ির সামনে। পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াত এবং রাসূল সা. পাকের শানে নাত পড়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  তারপর পীরজাদার একের পর এক বক্তব্য রাখেন। পীরজাদা নুরুল্লাহ সিদ্দিকী বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন অনেক সহ্য করেছি আর নয়। যদি নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার না করে তাহলে আমরা মাথায় কাপড় বেঁধে কলকাতা রাজপথ স্তব্ধ করে দেব। রাসূল সা.-এর সম্মানার্থে, সংবিধান বাঁচাতে রক্ত দিতে হলেও দেব বক্তব্য রাখেন আম্মার উদ্দিন সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষের মান লুন্ঠিত হচ্ছে যা কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একবারে কাম্য নয়। অবিলম্বে নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে কড়া সাজা দেওয়া হোক।

সাফেরি সিদ্দিকী ঝাঁজালো ভাষায় বলেন,  এই দেশ হিন্দু মুসলমান মিলে স্বাধীন করেছি, এই দেশে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাইযের মতো আছি। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল তৈরি করছে। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা না দিয়ে এগিয়ে যাব এবং অসাম্প্রদায়িক দলকে উৎখাত করে ছাড়বই। সৈয়দ আফতাব উদ্দিন বলেন,  এই সরকার ধর্মে ধর্মে বিভেদ লাগিয়ে গৃহযুদ্ধ বাধাবে। তাই সকল ধর্মালম্বী মানুষদের বলবো আপনারা সজাগ থাকুন, নচেৎ অপদার্থ সরকার এই দেশটাকে শেষ করে দেবে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে। এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা মেহরাব সিদ্দিকী পীরজাদা মেহরাব সিদ্দিকী পীরজাদা জুনায়েদ সিদ্দিকী পীরজাদা তাহাবিব সিদ্দিকী সৈয়দ নাজিম উদ্দিন সহ ফুরফুরা শরীফের আরো অনেক পীরজাদাগণ।

মগরাহাটে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে দুই সাংসদ, বিধায়কও

ঝাড়গ্রামের অনিমেষ রায়ের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে