সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: শিবশঙ্কর বাবু পেশায় ছিলেন একজন সরকারি দফতরের কর্মী। গত ডিসেম্বরে তিনি অবসর নিয়েছেন। এখনও পেনশন তার পেনশেন চালু হয়নি, যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছে তার পুরো পরিবার। তাই তিনি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চায়ের দোকান খুলেছেন বছর ৬২ এর এই বৃদ্ধ। বাঁকুড়া শহরের জুনবেদিয়া বাইপাসের ধারে, সে দোকানের নাম রেখেছেন ‘শিল্পশ্রী’। দোকানের মালিক শিবশঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘টাকার অভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ-শিল্পের কথা বলেছিলেন। চপ ভাজতে পারি না। তাই বিকল্প হিসাবে চায়ের দোকান খুলেছি।’’ জনশিক্ষা প্রসার দফতরের গ্রুপ-সি স্তরের কর্মী ছিলেন শিবশঙ্কর বাবু। বাঁকুড়ায় সেই দফতরের অধীনেই থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের একটি স্কুলে হাতের কাজ শেখাতেন তিনি, দীর্ঘকাল যাবৎ তিনি এই কাজে ব্রতী হয়েছেন। শিবশংকর বাবু স্ত্রী সুস্মিতা দেবীও জনশিক্ষা প্রসার দফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। কুড়ি বছরের বেশি কাজ করার পরে, ২০১৭ সালে অসুস্থতার কারণে অবসর নেন তিনি। শিবশঙ্কর বাবুর দাবি, নিয়মমাফিক স্ত্রীরও গ্র্যাচুইটি পেনশন-সহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু পাঁচ বছরেও সে সব পাওনা মেলেনি। তাঁর অভিযোগ, ‘পেনশন চালু হয়নি এখনও। প্রশাসনিক দফতরে আমার ও স্ত্রীর প্রাপ্য চেয়ে বারবার ছুটে ক্লান্ত’। তাই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাঁকুড়া শহরে শিক্ষাশ্রী নাম দিয়ে খুলে ফেলেছেন চায়ের দোকান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct