সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়া জেলার ছেলেমেয়েরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে এ বছরও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তারা। এমন অনেক পরিবার রয়েছে সংসার চলে না তারাও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে । এ রকমই একজন হল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের অর্পিতা মন্ডল । দারিদ্রতা তার নিত্যদিনের সঙ্গী কোনরকমে সংসার চালান শারীরিকভাবে অসুস্থ দিনমজুর বাবা । দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চোখধাঁধানো রেজাল্ট করেছে অর্পিতা মন্ডল । তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। এবছর সে পাথরমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল । শুক্রবার রেজাল্ট বের হতেই দেখা যায় গোটা রাজ্যের মধ্যে সে ৪৯৫ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে এবং বাঁকুড়া জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দারিদ্রতা এতটাই নিচে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত নেই এমার্জেন্সি লাইট দিয়ে কোনরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যেত অর্পিতা মন্ডল । বাবা একজন দিনমজুর তার ওপর শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি । মা গৃহবধূ । বসতবাড়ি একেবারেই জরাজীর্ণ আতঙ্ক নিয়ে ওই বাড়িতে রাত কাটাতে হয় তাদের। ঝড়-বৃষ্টিতে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বসতবাড়ি । এত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে তার এই সাফল্য নজর কাড়ছে সকলের। তার এই ভালো রেজাল্ট হওয়াতে খুশি গ্রামবাসীরা। খুশি তাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলেই। অর্পিতা মন্ডল জানা , আগামী দিনে একজন শিক্ষিকা হতে চাই এবং সমাজের জন্য কাজ করতে চাই । দারিদ্রতাকে কাটিয়ে আগামী দিনে কতটা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে সে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন তার কাছে। সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে অর্পিতার আরও ভাল ফল আশা করে সকলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct