আপনজন ডেস্ক: ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল সেটিই। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সে রেকর্ড নতুন করে গড়তে হতো তাদের। রেসি ফন ডার ডুসেনের ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫, ডেভিড মিলারের ৩১ বলে অপরাজিত ৬৪ রান আর ৬৪ বলে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রানের জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা করল সেটিই। অধিনায়ক হিসেবে ঋষভ পন্তের অভিষেকের দিনে ভারত ২১২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সেটি পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেট ও ৫ বল বাকি রেখে। টানা ১২টি টি-টোয়েন্টি জেতার পর এই প্রথম হারল ভারত। এ ম্যাচ জিতলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের রেকর্ডটি এককভাবে নিজেদের করে নিত ভারত।
রান তাড়ায় পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৬১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি—৮ বলে ১০ রান বাভুমার, ১৮ বলে ২২ রান ডি ককের। দক্ষিণ আফ্রিকার মূলত কাজে আসে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে তিনে পাঠানো। হার্শাল প্যাটেলের ফুল টসে বোল্ড হওয়ার আগে ১৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তবে ডি ককের পর প্রিটোরিয়াসের উইকেটে একটু চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফন ডার ডুসেনের শুরুটাও ছিল ধীরগতির। মিলারের সঙ্গে তাঁর জুটি শুরুর সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৬৪ বলে ১২৯ রান।
প্রথম বাউন্ডারি মারতে মুখোমুখি হওয়া ১১তম বল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন মিলার, প্রথম ১০ বলে তাঁর রান ছিল ৯। ১২তম ওভারে হার্শাল প্যাটেলকে চার-ছয়ে খোলস ছেড়ে বের হন, তাঁর ঝড়ও শুরু হয় তখনই। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেলের ওপর চড়াও হন, টানা তিন বলে মারেন তিনটি বাউন্ডারি—চার, ছয়, ছয়। মাত্র ২২ বলেই অর্ধশতক পেয়ে যান দুর্দান্ত এক আইপিএল কাটানো মিলার। ফন ডার ডুসেনও খোলস ছেড়ে বের হন হার্শালের ওপর চড়াও হয়েই। প্রথম ৩২ বলে তাঁর রান ছিল ৩১। সেখান থেকে ৩৭ বলেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি, ১৭তম ওভারে হার্শালকে ৩ ছয় ও ১ চারে তোলেন ২২ রান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct