সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে হাওড়ার নিহত পরিবেশপ্রেমী তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি করা হলো। ২০১১ সালে পরিবেশপ্রের্মী তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তপন দত্ত ছিলেন হাওড়ার বালি এলাকার তৃণমূলের নেতা। এই মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়েরও। প্রথম দিকে এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য গোয়েন্দা সিআইডি। প্রথমে অরূপ রায়ের নাম থাকলেও সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ যায়।
তাছাড়া হাওড়া আদালত পাঁচ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল।এরপরেই নিহত তপন দত্তর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর এদিন কলকাতা হাইকোর্ট তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। জানা গেছে, বালি জগাছার একটি জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সেসময়কার স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পরিবেশপ্রেমী তপন দত্ত। গত ২০১১ সালে হাওড়ায় যেদিন ভোট ছিল সেদিন রাতেই মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তপন দত্তকে। বিচার না পেয়ে তপন দত্তর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত ২০১৬ বাম-কংগ্রেসের জোটে সামিল হয়েছিলেন। ডোমজুড় বিধানসভায় নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।এদিন প্রতিমা দত্তর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান , - ‘সত্যের জয় হবেই। একে আটকানো যাবে না। এবার সিবিআই আসল অপরাধীদের বের করুক, সেটাই চাই।’এরপরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল নিহত তপন দত্তের পরিবার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই মামলায় সিবিআই তদন্ত এর নির্দেশ দেন।বিচারপতি তাঁর আদেশনামায় উল্লেখ করেছেন , -’ সিআইডি-কে সব নথিপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। সিবিআই যদি মনে করে তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু প্রয়োজন, তাহলে তদন্ত করতে পারে তারা’। গত ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন তপন দত্ত। ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মী-সহ মোট ১৩ জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্তের তালিকায়। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে এই মামলা। তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত সুবিচারের আশায় অনেক হাল ছাড়েননি। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টপাধ্যায় জানান, -’তথ্য প্রমাণের অভাবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা শাস্তি পায়নি’।এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে সিআইডি প্রাথমিকভাবে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল। সিআইডি তদন্তে জানায়, -’ জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপন দত্ত খুন হন’। গত ২০১১ সাল সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct