নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: লিচুর মরশুম মানেই শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। লিচু কারবারিদের মতোই উপার্জনে মেতে ওঠে তারা। লিচু বিক্রি করা করে সেই টাকায় খাতা, পেনসিল কেনার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করে তারা। ওরাও উপার্জনের রাস্তা খুঁজে পায়। লিচুর বাগান থেকে লিচু কুড়িয়ে এনে কিশোর কিশোরীদের বিক্রি করতে দেখা যায়। কালিয়াচকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দলে দলে তাদের দেখা যায়। বাটি ভর্তি লিচু নিয়ে পথচারীদের বিক্রি করে তা। লিচু ভর্তি বাটির মাপ অনুযায়ী লিচুর দাম পড়ে। ছোট বাটি হলে ৫ টাকা। মাঝারি বাটির দাম ১০ টাকা এবং বড় বাটি ভর্তি লিচুর দাম ২০ টাকা। দিনে ১০০-১৫০ টাকা উপার্জন করে এই সময় তারা। আর এই লিচু বিক্রির টাকায় পড়াশোনার সামগ্রী কিনে থাকে তারা। এদের অনেকেই স্কুল পড়ুয়া। গরমের এই মরশুমে স্কুল ছুটি থাকে। আর সেই সুযোগে তারা উপার্জনও করে বেশ। এই মরসুমে শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীরা লিচু কারবারে মেতে ওঠে।
তারা কেউ নিজেদের বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করে, কেউবা লিচু কুড়িয়ে নিয়ে আসে। ক্লাস ফোরে পড়া আনিকুল ইসলাম সকাল বিকাল লিচু বিক্রি করে এই সময়। এরকম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মাহি খাতুন, ক্লাস থ্রির সানিয়া খাতুন, ক্লাস ফোরের রিজুয়ান শেখরা হাসিখুশি মুখে বলে, ‘আমরা কয়েকদিন এইভাবে দলে দলে আসি। বাগান থেকে লিচু কুড়িয়ে একসঙ্গে বিক্রিও করি। খুব আনন্দ করে লিচু বিক্রি করি। লিচুর বিক্রির টাকায় আমরা খাতা, পেনসিল কিনে থাকি। নিজের পছন্দের খাবারও খাই।’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতিউর রহমান বলেন, ‘এই সময় গরমের ছুটি থাকে। তাই শিশুরা লিচু বিক্রিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। বাড়িতে পড়াশোনার ফাঁকে নেমে পড়ে লিচু বিক্রিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct