মেহরাজ চৌধুরী, শিলচর, আপনজন: বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন অসম পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে লখিমপুর জেলার সেন্ট মেরি স্কুলের রক্তপাল শইকিয়া। দুজন অসম সেকেন্ডারি বোর্ড প্রথম দশজনের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্থান পেয়েছে ৫৩ জন। এবছরও ভাল ফল করেছে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা। প্রথথম দশে স্থান করে নিয়েছে ৬জন। তৃতীয় হয়েছে দুজন। তার মধ্যে রয়েছে ডিব্রুগড়ের বৈরাগী মঠের ডন বসকো হাইস্কুলের ছাত্র লাবিব মুজিব। পঞ্চম স্থানে চারজন। তার মধ্যে রয়েছে বরপেটা পালহাজি হাইস্কুলের ছাত্র জুবায়ের হোেসন ও যোরহাটের বেন গার্ডেন স্কুলের ছাত্রী শাহনাজ আনজুম ইয়াসমিন। নবম স্থানে রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রুরাল কামরূপের আল আমীন ইসলামিক মডেল স্কুলের ছাত্র তাবিবুল হক। দশম স্থানে আঠারো জনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বরপেটার নবমিলন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের আলমিনা খাতুন ও নগাঁওয়ের সেন্ট বনিফেস হাই স্কুলের ছাত্র মুহাম্মদ হাম্মাদুর রহমান। এবছর সর্বমোট ৪,০৫,৫৮২জন পরীক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে ২,১৭,০১২ ছাত্রী, বাকি সবাই ছাত্র। ঘোষিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীর হার ৫৬.৪৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থান অধিকার করা ডিব্রুগড়ের লাবিব মুজিব ৫৯৫ নম্বর পেয়েছে। তার বাবা মা দুজনের দন্ত চিকিৎসক। তাদের অনুসরণ করে সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। তবে, এ বছর সংখ্যালঘুদের মধ্যে মেয়েরাও বেশ ভাল ফল করেছে। যোরহাট জেলার তৈয়ক বেন গার্ডেন স্কুলের ছাত্রী শাহনাজ আনজুম ইয়াসমিন ৫৯৩ নম্বর পেয়ে ৫ম স্থান অধিকার নজির সৃষ্টি করেছে। তৈয়কের কাকজানের কাকজান কামার খাটাল পূর্ণী গ্রামের বাসিন্দা মুকিবুর রহমান এবং মফিদা বেগমের কন্যা ইয়াসমিন। শেহনাজ আঞ্জুম ইয়াসমিন জানিয়েছে সে হোজাইয়ের আজমল সুপার ফোর্টিতে পরবর্তী শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct