সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ব্লক ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। আর এই ব্লকের ঘোষপাড়া অঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম ভারতের শেষ সীমান্তে অবস্থিত।সেই সব গ্রামের ভারতীয় নাগরিকরা যেনো কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই সব বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেসমস্ত গ্রাম বা এলাকার মানুষ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেই সব গ্রাম বা এলাকার মানুষের কাছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন বা প্রকল্পগুলো কিভাবে পাবেন সেই বিষয়ে সজাগ করতে এদিন ডোমকল মহকুমা শাসক সুমিত কুমার রায়, জলঙ্গী বিডিও শোভন দাস,সহকারী বিডিও সুশান্ত মন্ডল,পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক অরুপ বৈদ্য সহ পঞ্চায়েত কর্মীগণ দের নিয়ে সীমান্তে গিয়ে জনসংযোগ ও মোবাইল বাংলা সহায়তা শিবির করেন।
এদিন শিবিরে আসা সীমান্তের মানুষের সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্জিত হওয়ার বিষয়ে কথা শুনলেন। এবং যাদের যে সমস্ত সমস্যা সেই বিষয় গুলো এক এক করে এসডিও র নির্দেশে সহকারী বিডিও সুশান্ত মন্ডল নোট করেন ও পি ডি ও অরুপ বৈদ্য সেই সব সাধারণ মানুষ কে হয়রানি থেকে বাঁচাতে তাদের সমস্যা অনুযায়ী কাগজ পত্রের ছবি করে নেন। এবং এন্ট্রি করার জন্য বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের বান্টি কে নিয়ে যাওয়া হয় ।তার ল্যাপটপে বেশকিছু আবেদন এন্ট্রি করা হয়। এদিনের শিবিরে স্বয়ং জলঙ্গী বিডিও শোভন দাস নিজেই ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়ের মানুষের সমস্যার কথা শুনে তাদের সেই সব সমস্যা গুলো অনলাইনে চেক করেন ।সেই সব বিষয়গুলোর কাজ কতদূর এগিয়েছে কি না। কারো কোনো বিষয়ে অজানা থাকলে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন বিডিও।
এসডিও সুমিত কুমার রায় বলেন সাধারণ মানুষ যেনো কোনো ভাবেই সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয় গুলো লক্ষ রেখে চলতে হবে। তাই সীমান্তে এসে তাদের সমস্যার কথা শুনলাম,এবং তাদের সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হলো।সাধারণ মানুষের শিবির ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। যতটা সম্ভব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব করবো বলে জানান। ঘোষপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাফিকুর ইসলাম বাবু, বলেন কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবতেই পারিনি যে স্বয়ং এসডিও সাহেব সীমান্তে এসে উপস্থিত হয়ে আমাদের কাজ নিজের হাতে করে দিবেন।খুব ভালো লাগছে এসডিও ও বিডিও সাহেবের এই উদ্যোগে। স্থানীয় এক মহিলা বলেন আমার বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও বাধক্য ভাতা পাইনি, তাই এখানে জানালাম , নাম মোবাইল নাম্বার ও ছবি তুলে নিল। আশ্বাস দিয়েছে কাজ হবে। শিবিরে আশা সকল পুরুষ মহিলা সকলেই আশাবাদী যে এবার কাজ হবে। এদিনের শিবিরে বেশির ভাগ বার্ধক্য ভাতার অভিযোগ বেশি করেন। সকলের সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে বেল আশাবাদী এলাকায় মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct