জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: স্বাধীনতার ৭৫বছর পার হয়ে গেলেও এখনো গ্রামের কোনো পাকা রাস্তার মুখ দেখলো না পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নং ব্লকের ইলু জারগো গ্রাম পঞ্চায়েতের বনডি গ্রাম। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া জেলার শেষ প্রান্তে এই বনডি গ্রামটি। জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ী এলাকায় বনডি গ্রামে প্রায় ৫৫ টি পারিবারের বসবাস। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মুল রাস্তা থেকে গ্রামের ভেতরে ঢোকার কোনো রামম সরকারী রাস্তা নেই। ফলে সমস্যায় জেরবার এই গ্রামের বসবাসকারী পারিবারগুলি। যদিও গ্রামে রয়েছে প্রাথমিক স্কুল ,রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ইলু জার্গো গ্রাম পঞ্চায়েতে
২০১৮ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের সমর্থনে পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমুল কংগ্রেস। তার আগে বেশ কয়েক বারই কংগ্রেসে ও ফরওয়ার্ড ব্লক দল এই পঞ্চায়েতে দখল করে ছিল। কোন দল যে এই গ্রামের রাস্তার জন্য কোনো সদিচ্ছা দেখায় নি তা দেখেই বোঝা যায়। গ্রামের বাসিন্দা অশোক মাহাত ,বীরেন্দ্র নাথ মাহাত, খনা মাহাত ও ফুটুমনি সিং মুড়া রা জানান এখনো পর্যন্ত যে রাস্তা ২ টি ব্যাবহার করে আসছি তার মধ্যে ১টি রামাশ্রম দিয়ে জার্গো যেতে হলে পুকুরের পাড় ব্যাবহার করে ব্যক্তিগত জমির আল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অন্যটি ডোমটার দিয়ে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার গিয়ে জমি ও জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। গ্রামের অসুস্থ হওয়া মাহিলা বা পুরুষদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামের ভেতরে যাওয়ার কোনো রাস্তা না থাকায় এম্বুলেন্স ঢোকে না সময় মতো সন্ধ্যার পর তো একদমই এম্বুলেন্স ঢোকে না।অন্যদিকে সন্ধ্যের পর এই এলাকা জঙ্গল ঘেরা হওয়ায় বন্য প্রাণী ও হাতির আতঙ্ক থাকে ফলে রাত্রের দিকে কোন অসুস্থ ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। গ্রামের বিদ্যুতের অবস্থা ও শোচনীয়। কোন কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে বেশ কয়েকদিন বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে মানুষ বাড়ী থেকে বেরোতে ভয় পায়। পাশপাশি রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। প্রত্যেক বছর গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়। গ্রামের মধ্যে থাকা কুয়ো থেকে পানীয় জল হিসেবে ব্যাবহার করে মানুষজন। আর সেই জল পান করে পেটের সমস্যায় পরতে হয় অনেক সময় গ্রামবাসীদের। এবিষয়ে ইলু জার্গো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রকাশ কুমার মাহাত জানান , পানীয় জলের জন্য নলকূপ বসানোর চেষ্টা করলেও মাটির নিচে পাথর থাকায় নলকূপ বসানো যাচ্ছে না।গ্রামবাসীদের দাবী তাদের গ্রামের ঢোকার পাকা রাস্তার ব্যাবস্থা করতে হবে যেহেতু রাস্তাটি ব্যক্তিগত জমির উপরে তাই ঐ জমি মালিক ও গ্রাম বাসীদের সাথে কথা বলে ব্যবস্তা করা হবে। যদিও গ্রামবাসীদের ক্ষোভ ভোটের সময় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট পেরোলে আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct