মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: সন্তান মেয়ে হোক বা ছেলে,কর্মজীবন নিয়ে চিন্তিত থাকেন সব পিতা-মাতাই। তবে একটু ব্যতিক্রমী পড়াশোনা করলে হয়তো সফলতা মেলে অনায়াসে। শান্তিপুর ভদ্রকালী এলাকায় ইলেকট্রনিকস্ দোকানদার অদ্বৈত দাসের মেয়ে আত্রেয়ী কত্থক নাচে বহুবার পুরস্কৃত হয়েছে। তবে বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী আত্রেয়ী এবং তার দাদা অর্ঘ্য দুজনেই ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রতিষ্ঠিত। তবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ২০১৫ সালে কৃষ্ণনগর গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা কোর্স করে, তিন বছরের কোর্স শেষ হওয়ার পর একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আরো তিন বছর পড়াশোনা করে বিটেক সম্পন্ন করে আত্রেয়ী।মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এ পড়াশোনার জন্য, বিভিন্ন সমস্যার কারণেই হয়তো মহিলাদের চোখে পড়ে না, তবে মা রীনা দাস গৃহবধূ হওয়ার কারণে তার মনের সুপ্ত বাসনা অনুযায়ী মেয়েকে সবক্ষেত্রেই সহযোগিতা করতেন। অন্যান্য পুরুষ সহপাঠীরা বিটেক সমাপ্ত হওয়ার পর বিভিন্ন বিভাগে চাকরিতে যোগদান করে, তবে একমাত্র মহিলা ছাত্রী আত্রেয়ীর জেদ ছিল যে বিষয়ে পড়াশোনা অর্থাৎ পরিবহন এবং চাষের ট্রাক্টর, সেই বিষয়েই খুঁজতে থাকে কর্মের সুযোগ। আন্তর্জাতিক মানের একটি ট্রাক্টর উৎপাদক এবং বিক্রেতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে নদীয়ার একটি ইউনিটে প্রথম কাজ করতে শুরু করে। অল্পদিনের মধ্যেই তার পড়াশোনার দক্ষতা এবং ব্যবহারিক প্রয়োগে ওই সংস্থারই সমগ্র বাংলা এবং ভুটানের দায়িত্ব পান সেলস এন্ড মার্কেটিং এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পেশায় একজন মহিলা হিসেবে আত্রেয়ীর সফলতার কথা তুলে ধরতে নৈহাটিতে দিদি নাম্বার ওয়ান অডিশনে গত ৮ই মে আমন্ত্রণ জানায় তার এক বান্ধবী। ট্রাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে তারাই নিয়ে যান নিজেদের উদ্যোগে। এরপর ফাইনাল শুটিং হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct